খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা, নির্বিকার প্রশাসন
- এনামুল হক রাজাপুর (ঝালকাঠি)
- ০৪ জুলাই ২০২০, ০০:৪৮
ঝালকাঠির রাজাপুর শহরে খাল দখলে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ভূমিদস্যুরা। উপজেলার এক সময়ের খরস্রোতা নদী জাঙ্গালিয়ার শাখা নদীটি ভূমিদস্যুদের থাবায় মৃত প্রায় নালায় রূপ নিয়েছে। ক্ষমতাসীন কিছু ভূমিদস্যু খালটি দিনে দিনে দখলে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় পরিবেশবাদীরা। খালে প্রকাশ্যে নানা স্থাপনা নির্মাণ করলেও প্রশাসন নির্বিকার ভূমিকায় বলেও অভিযোগ তাদের।
সরেজমিন দেখা যায়, বাগড়ি বাজার এলাকা থেকে শুরু করে পশ্চিমে রাজাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পর্যন্ত দুই পাড় দখলে নিয়েছে ভূমিদস্যুরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পেছনের খালের ওপর একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে ব্যবসা চলছে। এ ছাড়া সদরের বাজার খালে ইট-সুরকিতে কলেজ রোডের কালীমন্দির এলাকা ভরাট করা হয়েছে। আবার স্থানে স্থানে কাঠের ঘরও নির্মাণ করেছে ভূমিদস্যুরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করেই এসব কাজ করছে ভূমিদস্যুরা।
উপজেলা সদরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, লোকচক্ষু এড়াতে বাঁশের বেড়ার আড়ালে ভরাট করে নির্মাণ করা হচ্ছে বিভিন্ন স্থাপনা। স্থানীয়রা জানান, মধ্য বাজার এলাকা থেকে ভারানি খাল জেল খানার পেছনের এলাকা হয়ে টিএন্ডটি সড়কের মধ্য দিয়ে বাইপাস এলাকার ব্রিজ হয়ে তুলাতলার দিকে বয়ে গেছে। দখলের কারণে মৃতপ্রায় এ খালটিতে নৌকায় বাজারে আসা, স মিল ও ধান মিলে ধান নেয়া ও বাজারের মালামাল বহনে ব্যবহার হয়ে আসছে। ভূমিদস্যুদের কারণে খালটি আজ মৃত প্রায় মরা খালে পরিণত হয়েছে। জোয়ারের সময় সামান্য পানি থাকলেও ভাটায় খালে পানি থাকে না বললেই চলে। শহরের কোথাও অগ্নিকাণ্ড বা অন্য কোনো দুর্ঘটনা হলে প্রবল পানি সঙ্কট দেখা দেবে। এ ছাড়া খালটি দিনে দিনে ভরাট হয়ে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই পার্শ্ববর্তী এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
রাজাপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ হাওলাদার জানান, কাজ বন্ধ রেখে খালের ভেতর থেকে পাইলিংগুলো সরিয়ে চলমান প্রবাহ ঠিক রেখে জেয়ারে যতদূর পর্যন্ত পানি ওঠে সে পর্যন্ত পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে; অন্যথায় খাল দখলকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর পুরো খালটি দখলমুক্ত করতে মেপে সীমানা নির্ধারণ করে দখলমুক্ত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা