২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

পাখির কিচিরমিচির ভুলিয়ে দেয় করোনা আতঙ্ক

-

করোনার ভয়ানক থাবায় যান্ত্রিক দুনিয়া যখন স্থবির হয়ে পড়েছে, প্রকৃতি তখন আপন ছন্দে নতুন করে জেগে উঠছে ছোট্ট একটি মফস্বল শহরে। পুরো বিশে^র মতো বাংলাদেশও করোনার কবল থেকে রেহাই পায়নি, রেহাই পায়নি এই জেলা শহরটিও। তবে পাখি তো আর করোনা বোঝে না, তাইতো নিজেদের ছন্দে কিচিরমিচির করে মাতিয়ে রাখছে প্রকৃতি। এক কথায় পাখির কিচিরমিচির মানুষকে অন্তত কিছুক্ষণের জন্য ভুলিয়ে রাখছে করোনা আতঙ্কের কথা।
স্বাভাবিকভাবে পাখিরা বনবাদাড়ে নিজেদের বসবাস ও আড্ডাস্থল গড়ে থাকে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ আলাদা গেছো চড়–ই নামের ক্ষুদ্র পাখিরা। যার বৈজ্ঞানিক নাম ইউরেশিয়ান ট্রি স্পেরো। এ পাখিরা তাদের আড্ডাস্থল হিসেবে বেছে নিয়েছে ঠাকুরগাঁও শহরের সবচেয়ে কোলাহলপূর্ণ পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা। জায়গাটি চার রাস্তার মিলনস্থল। এখান দিয়ে চলে গেছে ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়ক। এমন একটি জায়গায় পাখিরা সমবেত হয় যা রীতিমতো অবাক করার মতো। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে-না-হতেই পাখিগুলোর আগমন ঘটতে থাকে। ঝাঁকে ঝাঁকে এসে বসে রাস্তার পাশে বৈদ্যুতিক তার এবং গাছের ডালপালায়। সংখ্যায় যা হাজার হাজার। সন্ধ্যার অনেক পর পর্যন্ত চলে তাদের কলকাকলি কিচিরমিচির। এরপর তারা ফিরে যায় আশপাশের গাছপালা ঝোপঝাড়ে। সেখানেই রাত কাটিয়ে ভোরে বেরিয়ে যায় আহারের সন্ধানে।
গেছো চড়ুই বা ইউরেশিয়ান ট্রি স্পেরো পাখির মাথার দিকে না তাকালে আমরা আমাদের বাড়িঘরে বাস করা পাতি চড়–য়ের সাথেই এক করে ফেলতে পারি। চেহারা হুবহু পাতি চড়ুই অর্থাৎ আমাদের ঘরের আশপাশে যে চড়–ই বসবাস করে ওদের মতোই। লম্বায় চার থেকে সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি হয়ে থাকে। ওজন ৩০ থেকে ৯০ গ্রামের বেশি হয় না। তবে এদের গালে একটি কালো দাগ বা বিউটি স্পটের জন্য এদের আলাদা করা যায়। এদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা দল বেঁধে ঝাঁকে ঝাঁকে চলাচল করে। অপেক্ষাকৃত নিচু গাছে বসবাস করে। শস্যদানা, আগাছার বীজ, ছোট ছোট পোকামাকড়, কীটপতঙ্গ এদের প্রধান খাবার।
বাসস্ট্যান্ড এলাকার কনফেকশনারি দোকানদার আব্দুস সাত্তার জানান, প্রতিদিন বিকেল বেলায় হাজার হাজার পাখি এখানে জড়ো হয়। ওদের কলকাকলিতে মিষ্টি এক পরিবেশ তৈরি হয়। মাঝে মাঝে ওরা ঝগড়াও করে দেখে ভালোই লাগে।
ঠাকুরগাঁওয়ের পাখিপ্রেমিক ও চিত্রগ্রাহক রেজাউল হাফিজ রাহি জানান, এসব গেছো চড়ুই এ অঞ্চলেই এদের বেশি দেখা যায়। তবে দিন দিন এদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। যেহেতু এই পাখিগুলো জনবসতির আশপাশে থাকতে ভালোবাসে তাই কেউ যেন এদের শিকার করতে না পারে সে জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টি করা উচিত বলে তিনি মনে করেন। বিষয়টির দিকে নজর রাখার জন্য তিনি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান।


আরো সংবাদ



premium cement
দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১ মনুষ্য চামড়ায় তৈরি বইয়ের মলাট সরানো হলো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে : ডা: ইরান আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি : মেজর হাফিজ তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর প্রেমিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা ভিয়েনায় মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রদূতদের ইফতারে ইসলামিক রিলিজিয়াস অথোরিটি আমন্ত্রিত এবার বাজারে এলো শাওমির তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে : মাওলানা হালিম বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে : ড. মঈন খান সাজেকে পাহাড়ি খাদে পড়ে মাহিন্দ্রচালক নিহত

সকল