১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মাদকের আখড়ায় সবুজ বিপ্লব : বিনামূল্যে সবজি পাচ্ছেন দরিদ্ররা

মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে (হেলিপ্যাডে) চাষ করা শাকসবজি বিতরণের জন্য তুলে আনছেন কৃষকরা : নয়া দিগন্ত -

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে মাদকের আখড়ায় চাষাবাদ শুরু করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানূর রহমান। প্রতিদিনই এই জায়গায় উৎপাদিত শাকসবজি পাচ্ছে ৫০-৬০টি দরিদ্র পরিবার। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, আশির দশকে উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে হেলিপ্যাড নির্মিত হয়। তিন-চারবার হেলিকপ্টার অবতরণ করলেও জায়গাটি পরবর্তিতে ঘন জঙ্গলে ঢেকে যায়। সন্ধ্যার পর থেকে এটি পরিণত হতো মাদকসেবীদের আড্ডাখানায়। ৪০ বছরের পতিত জায়গাটির ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে তিন মাস আগে থেকে শাকসবজি চাষাবাদ শুরু করেন ইউএনও। উৎপাদিত এসব শাকসবজি তিনি দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ শুরু করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানূর রহমান জানান, হেলিপ্যাডটি ঝোপঝাড় ও জঙ্গলে ভরা ছিল। দিনের বেলায় ভয়ে কেউ আসত না। পুরো ক্যাম্পাসটি পরিষ্কার করে হেলিপ্যাড এলাকার যে ঝোপঝাড় ছিল তিন মাস আগে তা কেটে পরিষ্কার করা হয়। এরপর চিন্তা আসল যে এত বড় একটি জায়গা পতিত রাখা যায় না। এ কারণে প্রথমে ফলের চারা রোপণ করা হয় এবং পরে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে শাকসবজি চাষ শুরু করা হয়। এ জায়গাটিতে এখন গ্রীষ্মকালীন সব ধরনের শাকসবজির চাষ হচ্ছে। এখান থেকে যে শাকসবজি ও ফল আসে তা দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করে দেয়া হচ্ছে। পরিষদের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদেরও দেয়া হয়। এ ছাড়া উপজেলার যেসব মানুষ কারো কাছে চাইতে পারে না তাদের চিহ্নিত করে পরিষদের নিজস্ব স্টাফ দিয়ে তাদের বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়।
এখানে শাকসবজি চাষের সাথে সম্পৃক্ত কৃষকরা জানান, কয়েক ধরনের ফলের গাছ ছাড়াও প্রায় ৪০ ধরনের শাকসবজি চাষ হচ্ছে। এখানে জৈবসার ছাড়া কোনো ধরনের ক্ষতিকর সার দেয়া হয় না। যার জন্য সবাই নিরাপদ শাকসবজি খেয়ে থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন শাহীন জানান, সন্ধ্যার পর থেকে জায়গাটি মাদকসেবীদের দখলে ছিল। বর্তমানে ইউএনওর উদ্যোগের কারণে আমরা দেখেছি পুরো এলাকায় একটি পরিবর্তন হয়ে গেছে। জায়গাটি সবুজ শাকসবজিতে ভরে গেছে। এতে আমরা আশপাশের মানুষসহ সবাই আনন্দিত।


আরো সংবাদ



premium cement