১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সাদুল্যাপুরে ফিরিয়ে দেয়া প্রসূতির হাসপাতাল গেটে সন্তান প্রসব

-

গাইবান্ধা সাদুল্যাপুরে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি না করে ফিরিয়ে দেয়ার পর ওই হাসপাতালের প্রধান গেটের পাশেই সন্তান প্রসব করেছেন এক প্রসূতি। ঈদের দিন সোমবার রাত ৮টায় এ ঘটনা ঘটে। প্রসূতি রাশেদা বেগম সাদুল্যাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের জামুডাঙ্গা বাঁধের মাথা গ্রামের দরিদ্র বাদশা মিয়ার স্ত্রী। স্বামী বাদশা মিয়া জানান, সোমবার সন্ধ্যায় রাশেদা বেগমের প্রসব বেদনা ওঠে। তাকে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা ভ্যানযোগে সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে দায়িত্বরত সেবিকা বাসনা রানী কোনো পরীক্ষা না করেই তাকে গাইবান্ধায় নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু প্রসব বেদনা তীব্র হওয়ায় সেখানে ভর্তি করে নেয়ার জন্য একাধিকবার অনুরোধ করা হলে ওই সেবিকা কোনো কথায় কর্ণপাত করেননি। পরে নিরূপায় হয়ে গাইবান্ধায় নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রসূতিকে রিকশাভ্যানে তোলা হলে রাশেদা বেগম ব্যথায় চিৎকার করতে থাকেন। এ সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল গেটের পাশেই তিনি একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান প্রসব করেন।
এ সময় সাদুল্যাপুর ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মিঠুন কুমার বর্মণ বলেন, মহিলা রোগী হওয়ায় আমি তাকে দেখি নাই। কর্তব্যরত সেবিকা বাসনা রানী ও আয়া শিল্পী রানী ওই রোগীকে দেখেন। কিন্তু রোগীর অবস্থা খারাপ থাকায় তাকে তার গাইবান্ধায় রেফার করেন।
সেবিকা বাসনা রানী জানান, ওই প্রসূতির সন্তান প্রসবের জন্য বাড়িতেও চেষ্টা করা হয়েছিল। ফলে রোগীর অবস্থা খারাপ ছিল। এজন্য তাকে গাইবান্ধা রেফার করা হয়।
এদিকে পরে খবর নিয়ে জানা যায়, শিল্পী রানী এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহায়ক পদে কর্মরত। তারপরও তিনি আয়া হিসাবে দায়িত্বপালন করেন। সাদুল্যাপুর ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম মন্ডল জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও সেবিকার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement