২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভালুকায় গণধর্ষণের পর মিল শ্রমিককে হত্যা : গ্রেফতার ৫

-

ময়মনসিংহের ভালুকায় গণধর্ষণের পর লিপি আক্তার নামে এক মিল শ্রমিককে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভালুকা মডেল থানার এসআই ইকবাল হোসেন। গত ১৯ মার্চ বিকেলে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর পূর্বপাশে বিলাইজোরা খালের সেতুর পাশে লিপি আক্তারের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো রকিবুল ইসলাম, হৃদয় মিয়া, জয়নাল, মামুন ও রাব্বি। হৃদয়ের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার ধোবাউড়া উপজেলার হরিণধরা গ্রামে। সে উপজেলার জামিরদিয়া এলাকায় ভাড়া থাকে। অন্যদের বাড়ি ভালুকা উপজেলায়।
জানা গেছে, নিহত লিপির বাবা নূর হোসেনের বাড়ি উপজেলার কংশেকুল গ্রামে। তিনি পরিবার নিয়ে জামিরদিয়া এলাকায় থাকেন। লিপি পাশের শ্রীপুর উপজেলার জৈনাবাজার এলাকায় এ এ ইয়ার্ন নামের একটি কারখানায় চাকরি করতেন। গত ১৫ মার্চ লিপি আক্তার নিখোঁজ হন। ১৭ মার্চ গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় সাধারণ ডায়রি করেন বাবা নূর হোসেন। ২০ মার্চ (লিপির লাশ শনাক্তের দিন) তিনি বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে ভালুকা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ৬১ দিন পর গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে রকিবুল ইসলাম ও হৃদয় মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জয়নাল, মামুন ও রাব্বিকে গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে মামলা তদারকি কর্মকর্তা ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম বলেন, লিপি হত্যা মামলাটি ছিল ক্লুলেস মামলা। রহস্য উদ্ঘাটনে বেশ বেগ পেতে হতে হয়েছে। কারণ মেয়ের পরিবারের অন্য সদস্যরা বাকপ্রতিবন্ধী। তারা কোনো তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে পারেনি। মামলার রহস্য উদঘাটন করতে একদিকে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যদিকে তদন্ত কর্মকর্তাকে ছদ্মবেশ ধারণ করে আসামিদের শনাক্ত করতে হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement