২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

রসে টইটম্বুর মঙ্গলবাড়িয়ার লিচু দাম নিয়ে শঙ্কায় চাষিরা

পাকুন্দিয়ায় বাগানে ঝুলছে বিক্রির উপযোগী লিচু : নয়া দিগন্ত -

রসে টইটম্বুর, স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়, আকারেও বড় মঙ্গলবাড়িয়ার লিচু। বাতাসের তালে, গাছের পাতার ফাঁকে লাল হয়ে দুলছে আর দুলছে। দেখে যেন জিভে পানি এসে যায়। এমনই লিচুর আবাদ হয়ে থাকে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামে। যে লিচুর স্বাদ নেয়ার জন্য রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার লোকজন ভিড় জমান ওই গ্রামটিতে। এমনকি দেশের ভিভিআইপির ঘরেও পৌঁছে এই লিচু। যায় দেশের বাইরেও। এ বছর ঝড়ো বাতাস, অসময়ে বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির মাঝেও লিচুর ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। কিন্তু করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কাক্সিক্ষত দাম পাবেন কি না তা নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন লিচু চাষিরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পাকতে শুরু করেছে লিচু। পুরোপুরি পাকতে লাগবে আরো এক সপ্তাহ। থাকবে সপ্তাহ দুয়েক। এরই মধ্যে শেষ হয়ে যাবে সুস্বাদু এ লিচু। টুকটাক লোকজন এসে লিচুর দাম কষছেন। কেউবা আবার কিনছেনও। অন্যান্য বছর চড়া দাম থাকলেও এবার দাম কিছুটা কম। প্রতি ১০০ লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে। তবে এখানকার বেশির ভাগ গাছই আগাম বিক্রি হয়ে যায়। কিছু গাছ পাইকাররা কিনে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করে থাকেন।
লিচু চাষিও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় এবার লিচুর কাক্সিক্ষত ফলন হয়নি। প্রতি বছর প্রায় অর্ধকোটি টাকার লিচু বিক্রি হয়। মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের লিচু চাষি ও ব্যবসায়ী হোসেন আলী মেম্বার জানান, নিজের গাছসহ অন্য চাষি থেকে কেনা শতাধিক লিচু গাছ রয়েছে তার। এতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় তিন লাখ টাকা। সপ্তাহখানেক পর থেকে লিচু বিক্রি শুরু হবে। আশা করা হচ্ছে তিন থেকে চার লাখ টাকার মতো লিচু বিক্রি করতে পারবেন। তবে কাক্সিক্ষত ফলন হলে আরো বেশি লাভবান হওয়া যেত বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: সাইফুল হাসান আলামিন বলেন, শুরুতে হালকা শিলাবৃষ্টি হওয়ায় লিচুর পরাগায়নে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। এ জন্য এ বছর লিচুর ফলন কিছুটা কম হয়েছে। তবে বাজারজাতকরণে কোনো সমস্যা নেই। লিচুর দামও ভালো পাবেন বলে আশা করেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement