২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

চুয়াডাঙ্গায় ত্রাণের পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও পাননি অনেকে

-

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সব ধরনের জনসমাগম বন্ধ রাখার জন্য গণপরিবহন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করায় কর্মজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। ঘর থেকে তারা কেউ বের হতে পারছে না। মূলত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে দেশের ১৭ কোটি মানুষ। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সারা দেশের মতো চুয়াডাঙ্গায়ও দুস্থ, হতদরিদ্র ও কাজহীন মানুষের মধ্যে সরকারি ত্রাণ বিতরণ চলছে। কিন্তু উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রকৃত দুস্থ, হতদরিদ্র ও বর্তমান পরিস্থিতির কারণে কাজ না থাকা মানুষের সংখ্যা এবং তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণের চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দের পরিমাণ অপ্রতুল বলছেন সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা। কোনো কোনো ওয়ার্ডে যেখানে কয়েক হাজার দুস্থ ও নি¤œ আয়ের কাজহীন মানুষ রয়েছে সেখানে বরাদ্দকৃত খাদ্যসামগ্রী বণ্টন করা সম্ভব হচ্ছে মাত্র এক থেকে ১৫০ জনকে। অবশিষ্ট রিরাট সংখ্যক দুস্থ মানুষ থেকে যাচ্ছে ত্রাণের বাইরে।
ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের সাথে যুক্ত কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মতে, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ খুবই সামান্য হওয়ায় একদিকে যেমন প্রাপ্ত খাদ্যসামগ্রী বণ্টনের ক্ষেত্রে ‘কাকে রেখে কাকে দেবো’ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, অন্য দিকে বদনামও নিতে হচ্ছে। বরাদ্দের সাথে চাহিদার সামঞ্জস্য না থাকায় যারা ত্রাণ পাচ্ছেন না, তারা এক ধরনের সন্দেহের চোখে দেখছেন জনপ্রতিনিধিদের। চাহিদার সাথে সমন্বয় রেখে বরাদ্দ না দেয়ায় ত্রাণপ্রত্যাশীদের সাথে জনপ্রতিনিধিদের এক ধরনের ভুল বোঝাবুঝিরও সৃষ্টি হচ্ছে।
এতে এমনও ঘটনা ঘটছে একই ব্যক্তি একাধিকবার কিংবা প্রয়োজন না থাকলেও ত্রাণ পাচ্ছেন। আবার প্রকৃত অর্থেই অসহায় হয়েও একবারও সরকারি ত্রাণ পাচ্ছেন না অনেকে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের মতে, দুস্থ মানুষের তালিকা প্রণয়ন এবং চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দের পুরো প্রক্রিয়াটিতে কিছুটা অপরিকল্পনার ছাপ রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৯ হাজার ৯৫০ পরিবারের মধ্যে ৯৯ দশমিক ৫০ টন চাল ও ৮১৭ পরিবারের মধ্যে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৫ হাজার পরিবারের মধ্যে ৫০ টন চাল ও ১১০০ পরিবারের মধ্যে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা, দামুড়হুদা উপজেলায় ৫ হাজার পরিবারের মধ্যে ৫০ টন চাল ও ৫৮০ পরিবারের মধ্যে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, জীবননগর উপজেলায় ৭ হাজার ২৭২ পরিবারের মধ্যে ৭২ টন চাল ও ৪০০ পরিবারের মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার টাকাসহ ২৭ হাজার ১৫০ পরিবারের মধ্যে ২৭১ দশমিক ৫০ টন চাল এবং মোট ২ হাজার ৮৯৭ পরিবারের মধ্যে ৭ লাখ ২৫ হাজার টাকার ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। মজুদ আছে ৩৩৬ দশমিক ৫০ টন চাল ও ৮ লাখ ২৪ হাজার ৫০০ টাকা।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য মজুদ আছে। সরকারি ত্রাণ প্রতিনিয়তই দেয়া হচ্ছে। যদি চুয়াডাঙ্গায় ত্রাণ শেষ হয়ে যায়, তাহলে চাহিদা মোতাবেক সরকার আরো পাঠাবে। আমি একটি কথা বলতে পারি, চুয়াডাঙ্গায় কেউ না খেয়ে থাকবে না। এরপরও যদি ত্রাণের প্রয়োজন হয়, তবে স্থানীয় পর্যায়ে ধনী ব্যক্তিদের থেকে সহযোগিতা নিয়ে ত্রাণ দেয়া হবে। প্রকৃতজন ত্রাণ পাচ্ছেন কি না সে বিষয়ে তিনি বলেন, প্রকৃত প্রাপ্যদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। যদি কোথাও এ বিষয়ে কারো নামে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা প্রশাসক বলেন, আমি মনে করি ত্রাণ যথেষ্ট পরিমাণে আছে। আর সঠিক তথ্য যাচাই করে, প্রকৃতজনকে তা দেয়া হচ্ছে। এরপরও যদি সমস্যা হয়, তাহলে সরকার আরো ত্রাণ পাঠাবে।


আরো সংবাদ



premium cement
সংবাদ-রাজনৈতিক বিষয়বস্তু কমিয়ে দেয়ায় ফেসবুক নিউজ ট্যাব থাকছে না জুনের মধ্যে তৃতীয় ধাপে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে : প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন সাকিবের প্রশংসায় পোথাস আদমদীঘিতে ২৩০ চালকল বন্ধ : বেকার ৭ হাজার শ্রমিক সাকিবে উজ্জীবিত বাংলাদেশের লক্ষ্য সিরিজে সমতা কুলাউড়ায় জঙ্গল থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার ঈদগাঁওতে মাদককারবারি গ্রেফতার শিক্ষায় ব্যাঘাত : ফেসবুক-টিকটক-ইনস্টাগ্রাম-স্ন্যাপচ্যাটের বিরুদ্ধে ২৯০ কোটি ডলারের মামলা আমতলীতে কিশোরীকে অপহরণ শেষে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৩ মহানবীকে কটূক্তির প্রতিবাদে লালমোহনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সকল