২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনা ঝুঁকিতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ১৫ হাজার ইটভাটা শ্রমিক

পুরোদমে কাজ চলছে পটিয়ার একটি ইটভাটায় : নয়া দিগন্ত -

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের দেড় শতাধিক ইটভাটায় কর্মরত প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক। সামাজিক দূরত্ব ও কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি না মেনে এসব ইটভাটায় চলছে ইট পোড়ানো। এ কারণে ইটভাটায় কর্মরত হাজার হাজার শ্রমিক রয়েছে মহামারী করোনা সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকিতে।
ইতোমধ্যে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় চার দিকে ব্যাপক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও দক্ষিণ চট্টগ্রামের ইটভাটাগুলোতে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে ইট পোড়ানো। সরকারিভাবে ছুটি দেয়া হয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালতে। এমনকি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে গণপরিবহন, সীমিত করা হয়েছে মানুষের চলাফেরা।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হলেও দক্ষিণ চট্টগ্রামের দেড় শতাধিক ইটভাগুলোয় এগুলোর কোনোটিই মানা হচ্ছে না। দেশে করোনা সংক্রমণ চলছে এমন কোনো লক্ষণও দেখা গেল না ইটভাটাগুলোতে। বরং প্রতিটি ভাটায় ইট তৈরির ধুম।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ, পটিয়া, আনোয়ারা, কর্ণফুলী উপজেলার প্রায় সব ইটভাটায় চলছে রাতদিন ইট তৈরির কর্মব্যস্ততা। দলবদ্ধভাবে মাটি মাড়াই, সাচে কাচা ইট কাটা আবার তা শুকানো চলছে। শুকানোর পর চুল্লিতে পোড়ানোর জন্য দলবদ্ধভাবে সেগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কোথাও আবার দলবদ্ধ হয়ে মেশিনে কয়লা গুঁড়ো করা হচ্ছে আবার তা বহন করা হচ্ছে। কোথাও আবার একই পুকুরে দলবদ্ধভাবে গোসল করছে শ্রমিকরা। আবার দলবদ্ধভাবে দুপুর ও রাতের খাবার খাচ্ছে, একই সাথে দলবদ্ধভাবে ঘুমাচ্ছে। এ কারণে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে ইটভাটার শ্রমিকরা।
তবে ইটভাটা মালিকপক্ষ বলেছে, প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসব শ্রমিক নভেম্বর ও ডিসেম্বরের মধ্যে ভাটায় আসে আবার মৌসুম শেষ হলে মে মাসের প্রথম দিকে আবার বাড়ি ফিরে যায়। এই পাঁচ-ছয় মাস তারা ইটভাটার গণ্ডির বাইরে বেরও হয় না। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে তারাও শ্রমিকদের মাস্ক ও হাত ধোয়ার জন্য সাবান দিয়ে আসছেন নিয়মিতভাবে। তা ছাড়া তাদের সবাইকে দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বলা হচ্ছে।
সাতকানিয়া ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল আলম বলেন, শ্রমিকরা প্রায় পাঁচ-ছয় মাস আগে ইটভাটায় কাজ করতে আসে। তাদেরকে মাস্ক ও হাত ধোয়ার জন্য সাবান নিয়মিত দেয়া হচ্ছে তা ছাড়া তারা তো ইটভাটার ভেতরেই রয়েছে তাদেরকে বাইরেও বের হতে হয় না। এখন তাদেরকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার জন্য নিয়মিত বলা হচ্ছে এবং তা নিয়ন্ত্রণও করা হচ্ছে বলে তিনি তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, প্রতি বছর নভেম্বর থেকে ইট তৈরির মৌসুম শুরু হয় আর শেষ হয় মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে।
ইটভাটায় শ্রমিকদের দলবদ্ধভাবে কাজ করার কারণে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির রয়েছে কি না জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা: শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলে ইট উৎপাদন করা যায়, তবে সে ক্ষেত্রে শ্রমিকদের মাস্ক ব্যবহার ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
গণকবরে প্রিয়জনদের খোঁজ কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা

সকল