২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কলাপাড়ায় ১০ টাকার চাল কালোবাজারে বিক্রি ৪ হাজার ভুয়া কার্ড

-

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ১০ টাকা কেজির চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্তত চার হাজার ভুয়া কার্ডের নামে চাল তুলে নেয়া হয়েছে। এতে দরিদ্র ব্যক্তিরা বঞ্চিত হয়েছে। সাধারণ দরিদ্র মানুষকে দেয়া সরকারি চাল নিয়ে চলছে লুটপাট। নিজের নামে কার্ড থাকলেও অনেকেরই তা জানা নেই।
জানা যায়, প্রায় তিন হাজার মানুষ জানে না তাদের নামে কার্ড আছে কি নেই। এভাবেই নামে-বেনামে কার্ড করে ডিলাররা চাল আত্মসাৎ করে চলছে। শুধু তা-ই নয়, তালিকায় নাম রয়েছে এমন হাজারো মানুষকে তাদের কার্ড হাতে দেয়া হয়নি। সম্প্রতি বিতরণের তালিকা যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে লুটপাটের এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তালিকায় পাওয়া যাচ্ছে বিত্তবান, একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তির নাম। ফলে সরকারের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি চরমভাবে বিতর্কিত হচ্ছে।
উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে এ তালিকার কার্ডধারীর সংখ্যা ২০ হাজার ১৫৩ জন। যাদের বছরে পাঁচবার ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা। কিন্তু ফি বছরে এ পাঁচ মাসে অন্তত তিন হাজার কার্ডধারীর প্রায় ৬০ টন চাল কালোবাজারে বিক্রি করে দেয় ৩২ জন ডিলার। তাদের সাথে তদারকি কর্মকর্তাদের সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিন জানা গেছে, লালুয়া এলাকায় ১৫৯৬ পরিবারের নামে কার্ড রয়েছে। এ তালিকায় চরম অনিয়ম হয়েছে। লালুয়ার পশুরবুনিয়া গ্রামের জেলে সেলিম ফরাজী জানেন না তার নাম রয়েছে তালিকায়। অথচ তার নামে নিয়মিত চাল উত্তোলন দেখিয়ে বিক্রি করা হয়েছে। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা গ্রামের মাখন লাল বিশ্বাসের নাম রয়েছে এই তালিকায়। তিনিও মার্চ মাসের ১০ টাকা কেজির কোনো চাল পাননি।
ইউপি মেম্বার ইউনুছ ফরাজি জানান, তার ওয়ার্ডের অন্তত ৪০ জনের নাম তালিকায় থাকলেও তারা জানেন না এবং কোনো দিন চালও পাননি। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে যাচাই-বাছাইতে অর্ধশতাধিক নাম বেরিয়ে এসেেেছ। এভাবে লালুয়ার একটি ইউনিয়নে নামে কার্ড আছে অথচ কার্ড দেয়া হয়নি এমন লোক রয়েছে প্রায় ৩০০ জন। বছরের পাঁচবার এদের নামে চাল উত্তোলন দেখিয়ে বিক্রি করা হয়েছে।
একই অবস্থা মিঠাগঞ্জ, নীলগঞ্জ, চাকামইয়া, টিয়াখালী, ধুলাসার, বালিয়াতলী, চম্পাপুর, ধানখালী, মহিপুর, লতাচাপলীসহ সব ইউনিয়নের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেশির ভাগ ডিলারই ব্যবসায়ী নন। এ দিকে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ ডিলারের দোকানে কার্ডধারীদের নামের তালিকা ঝুলানো থাকবে। কিন্তু ডিলারদের দোকানে কোনো তালিকা চোখে পড়েনি।
পূর্বের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বদলি এবং নতুন কর্মকর্তার যোগদানের ব্যস্ততার মধ্যে ৩২ ডিলার ইচ্ছামতো চাল নিয়ে চালবাজি করেছেন। এতে তদারকি কর্মকর্তাদের উদাসীনতার অভিযোগ রয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বি এম শফিকুল ইসলাম জানান, অনিয়ম পেলে সাথে সাথে তালিকা সংশোধন করা হয়। এ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বর্তমানে নতুন করে তালিকা দ্রুত যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ শ্রমিক নিহতের খবরে ঈশ্বরগঞ্জে শোক দুর্যোগে এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু কেন বাংলাদেশে? জবিতে ভর্তি পরীক্ষায় আসন বেড়েছে ৫০টি বিএনপি ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে : ওবায়দুল কাদের মাটির নিচে পাওয়া গ্রেনেড মাইন মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাসে যাচ্ছে জবি, বন্ধ থাকবে পরীক্ষা কুড়িগ্রামে রেলের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ ক্রিকেট খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে দেওয়ানগঞ্জের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী শিহাব কিশোরগঞ্জে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ সাতক্ষীরা বৈদ্যুতিক খুটিতে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলআরোহী নিহত বার্সেলোনাতেই থাকছেন জাভি

সকল