২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

আগৈলঝাড়ায় খাল ভরাট : সেচের অভাবে ধানচাষ ব্যাহত

-

দীর্ঘ দিন ধরে অযতœ, অবহেলা আর দখলের কারণে বরিশালের আগৈলঝাড়ার খালগুলো ভরাট হওয়ায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে সেচের অভাবে অনাবাদি রয়েছে বহু আবাদি জমি। আর চাষ হওয়া জমিতে পানির সঙ্কটে মরে যাচ্ছে রোপণ করা ধানের চারা। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া খালগুলো পুনঃখননের প্রকল্প গত দুই যুগেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় পানি সঙ্কটে ধান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষকরা। পানির তীব্র সঙ্কটে চলতি বোরো মৌসুমে সেচের অভাবে চাষ করা জমিতেও আশা অনুযায়ী ফলন না পাওয়ার আশঙ্কায় হতাশায় দিন কাটাচ্ছে স্থানীয় চাষিরা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর ও স্থানীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) অফিস থেকে দুই যুগ আগে খাল পুনঃখননের প্রকল্প গ্রহণ করলেও এখন পর্যন্ত খালগুলো পুনঃখনন না করায় জমিতে ধান চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছে এ জনপদের হাজারো কৃষক। এ ছাড়া খালগুলোতে স্বাভাবিক পানির প্রবাহ না থাকায় ভরা মৌসুমেও পাওয়া যাচ্ছে না কোনো প্রকার মাছ। বৃদ্ধি পাচ্ছে মশা-মাছিসহ ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ। খালগুলোতে পানির চাপ না থাকায় সপ্তাহে এক ফোঁটাও পানি সেচ দিতে পারছেন না ব্লক ম্যানেজাররা। যে কারণে বৃষ্টির ওপর নির্ভর করেই জমি চাষ করছে তারা।
সরেজমিন দেখা গেছে, একদিকে যেমন খালগুলো পলি মাটি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে অন্যদিকে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য প্রধান খালের বিভিন্ন স্থানে একাধিক বাঁধ দেয়ার কারণেও পানির প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে সেই উন্নয়ন কাজ শেষ হলেও খালে দেয়া বাঁধগুলো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি অপসারণ না করায় জোয়ারের সময়ও খালে পানি পাচ্ছে না কৃষকরা।
সেচের জন্য উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ২৭টি প্রকল্পের আওতায় ৮৬ কিলোমিটার খাল পুনঃখননের প্রকল্প দাখিল করা হয়েছে অন্তত দুই যুগ আগে। কিন্ত কৃষকের জন্য পানি সেচের কোনো ব্যবস্থা আজও করা হয়নি। চলতি বছর ২৬ হাজার কৃষক পরিবারের মাধ্যমে ৯ হাজার ৬৪৭ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৩ হাজার ৩১৩ মেট্রিক টন চাল। তবে পানির অভাবে সেচ সঙ্কটের কারণে উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। গতবারের চেয়ে এ বছর ৫০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ কম হয়েছে। একদিকে যেমন পানির অভাবে ধান চাষ করতে পারছে না কৃষকরা অপরদিকে ধানের বাজার মূল্য কম থাকায় জমি চাষের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক। এমতাস্থায় উপজেলার অভ্যন্তরীণ খালগুলো জরুরিভাবে পুনঃখননের দাবি জানিয়েছে কৃষকসহ স্থানীয়রা। স্থানীয় কৃষকরা জানায়, খালে পানি না থাকায় আমাদের জমিতে রোপণ করা ধানের চারাগুলো মরে যাচ্ছে। অতিদ্রুত আমাদের খালগুলো খনন না করা হলে ভীষণ অসুবিধায় পড়তে হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের এ অঞ্চলের জমিগুলো চাষের জন্য খালের পানির ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। আমরা ইতোমধ্যে উপজেলার খালগুলো খননের জন্য সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী রওশন ইসলাম বলেন, নদী কিংবা খাল পুনঃখননের মাধ্যমে নাব্যতা ফিরিয়ে আনার কর্মকাণ্ড সারা দেশব্যাপীই চলছে। এই উপজেলাতে যে সমস্ত খাল বা নদী এখনো নাব্যতার হুমকির মধ্যে আছে বা কোনো বাঁধের কারণে পানির প্রবাহ বাধার মুখে পড়েছে, সে সমস্ত বাধা আমরা দ্রুত অপসারণ করে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক করব।

 


আরো সংবাদ



premium cement
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন সাকিব, বললেন কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই কারওয়ান বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন

সকল