২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বগুড়ার হাটবাজারে এখনো প্রচণ্ড ভিড়

-

করোনা নিয়ন্ত্রণে জন সমাবেশ না ঘটাতে সরকারি নির্দেশ থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই তা মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে হাটবাজারে হাজার হাজার মানুষ একসাথে কেনাবেচা করছেন। এতে মারাত্মকভাবে করোনা ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। গতকাল বুধবার বগুড়ায় বৃহৎ হাট মহাস্থান ও গোসাইবাড়ী সাপ্তাহিক হাটবারে এমন চিত্র দেখা গেছে। অথচ কেনাকাটার জন্য প্রতিদিনই সকাল ও বিকেল সেখানে বাজার বসে।
জানা গেছে, মহাস্থানগড়, গোসাইবাড়ী, ধাপ, ওমরপুর, কুন্দার, শেরপুর, নয়মাইল, ধুনট, সারিয়াকান্দি, সুলতানগঞ্জ, মির্জাপুর, নাড়–য়ামালাসহ বগুড়ায় আরো কিছু বড় হাট রয়েছে। ওই সব জায়গায় প্রতি সপ্তাহে এক থেকে দু’বার হাট বসে। হাটবারে সমাগম ঘটে স্থানীয় ও আশপাশের এলাকার হাজার হাজার মানুষের। হাটে আসা লোকজনের বেশির ভাগের মুখে কোনো মাস্ক দেখা যায়নি। সম্প্রতি বগুড়ার বৃহৎ দু’টি হাট মহাস্থান ও গোসাইবাড়ীতে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতা বৃদ্ধির কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।
গোসাইবাড়ী এলাকার তরিকুল ইসলাম জানান, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় কলকারখানা, গার্মেন্ট ও ব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় লোক মানুষ গ্রামে চলে এসেছে। গোসাইবাড়ী হাটের সারিয়াকান্দি, ধুনট ও সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের লোকজন বাজার করতে আসে। এতে করোনা সংক্রমণের চরম ঝুঁকি রয়েছে। কোনো এলাকার আক্রান্ত কেউ হাটে এলে একসাথে কয়েক হাজার মানুষের মধ্যে এ সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তিনি বলেন, গোসাইবাড়ীতে প্রতিদিন সকাল ও বিকেল বাজার বসে। লোকজন সেখান থেকেই কেনাকেটা করলে হাটের দিন এত মানুষের ভিড় হবে না।
মহাস্থানের মাহফুজুর রহমান জানান, মহাস্থান হাটে বগুড়া বিভিন্ন এলাকা ও পাশের গাইবান্ধা, জয়পুরহাট জেলার লোকজন কেনাবেচা করতে আসেন। তবে বগুড়া শহরের বাজারগুলো বিকেল ৫টার পর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এটি ভালো উদ্যোগ। কাঁচামাল বিক্রি করতে আসা এক বৃদ্ধ বলেন, জমিতে সবজি পোক্ত হয়ে যাচ্ছে। বাজারে বিক্রি না করলে চাল-তেল কিনব কী দিয়ে। তা ছাড়া আপনার চাচীর প্রতিদিন অনেক টাকার ওষুধ লাগে। মহাস্থান হাটের ইজারাদার শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাট বসাতে নিষেধ করার পর শুধু কাঁচা শাকসবজি কেনাবেচা হচ্ছে। গরুসহ অন্যান্য পণ্য কেনাবেচা বন্ধ রয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাবেচা চলছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা জানান, হাট ইজারাদারদেরকে করোনা সতর্কতা সম্পর্কে জানিয়ে হাট না বসাতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা কেন হাট বসাচ্ছেন তা খতিয়ে দেখছি। তবে হাট না বসাতে ইজারাদারদেরকে মৌখিকভাবে বলা হলেও কোনো চিঠি দেয়া হয়নি।


আরো সংবাদ



premium cement