২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

চৌগাছায় সবজির দাম না পেয়ে হতাশ কৃষক

-

যশোরের চৌগাছায় সবজির দাম নিয়ে বিপাকে কৃষক ও ব্যাপারীরা। সবজি ভানইমবারখ্যাত দেশের সর্ববৃহৎ সবজি মোকাম চৌগাছা বাজার। এ সবজির হাট থেকে কাঁচা সবজি যায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় বড় শহরে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ছুটি ও গণপরিবহন বন্ধ থাকায় প্রভাব পড়েছে সবজি বাজারে। ফলে সবজি উৎপাদন ভালো হলেও দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা।
শুক্রবার চৌগাছায় সাপ্তাহিক সবজির হাট ছিল। এ হাটে ছিল অনেক সবজি। গত হাটের চেয়ে এই সবজির আমদানি বেশি ছিল, তবে দাম ছিল কম। কৃষকরা বলেন, সব সবজিই কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কমে বিক্রি করতে হচ্ছে। আর যে দামে বিক্রি করতে হচ্ছে তাতে ব্যাপাক লোকসান হচ্ছে কৃষকের।
চৌগাছা বাজারের আড়ৎ ব্যবসায়ী আজিজুর রহমান বলেন, বুধবার হাটে বিক্রি হয়েছে পটোল প্রতি কেজি ২৫ থেকে ২৮ টাকা, উচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, বেগুন ১৫ টাকা, ঢেঁড়স ২২ টাকা, শিম ১৫ টাকা, লাউ প্রতিটি ১৫ টাকা ও কলা ১৬ টাকা কেজি। কিন্তু শুক্রবার প্রতিটি সবজির দাম ছিল কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কম।
উপজেলার বাঘারদাড়ী গ্রামের পটোল চাষি ইনতাজ আলী বলেন, ‘এ বছর ১৭ কাঠা জমিতে পটোল লাগাইছি, বুধবার হাটে পটোল বিক্রি করেছি ২৮ টাকা কেজি, আজ বিক্রি হলো ২০ টাকা কেজি। অন্য বছর এ সময় পটোল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দাম থাকে। এর কম হলে চাষে আমাদের অনেক লোকসান গুনতে হবে।’
উপজেলার হাজরাখানা গ্রামের বেগুন চাষি আব্দুল কাদের জানান, গত হাটে ২০ টাকা কেজি বেগুন বিক্রি করেছিলেন, এই হাটে ১৫ টাকা। গত বছর এ সময়ে বেগুনের কেজি ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।
বড় খানপুর গ্রামের ঢেঁড়স চাষি দাউদ হোসেন বলেন, গত হাটের চেয়ে কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হলো ঢেঁড়স। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের মতো বর্গা চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়বেন।
সবজি কিনতে আসা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ব্যাপারী আবুল হোসেন বলেন, গত হাটে সবজি কিনে অনেক টাকা লোকসান হয়েছে। কারোনায় বইরের ব্যাপারীরা মাল কিনতে অনীহা প্রকাশ করছেন। খুচরা বাজারে ক্রেতা সঙ্কট দেখিয়ে কমিয়ে দেয়া হচ্ছে সবজির দাম। ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের।
স্থানীয় ব্যাপারী আব্দুস ছালাম বলেন, আগে ঢাকায় যেতে ট্রাকভাড়া ছিল ১৫ হাজার টাকা। বর্তমানে ভাড়া ১৯ হাজার টাকা। তারপরেও ঢাকাসহ সারা দেশের বাজারে সবজির দাম পড়ে গেছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় এক হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষ হয়েছে। সবজির ফলনও ভালো। করোনার প্রাদুর্ভাবে বাজারে ক্রেতা সঙ্কট তাই দাম পাচ্ছেন না কৃষক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রইচ উদ্দীন বলেন, দেশে সবজি চাহিদা থাকলেও পরিবেশ প্রতিকূলে তাই দাম কম। তবে করোনার প্রাদুর্ভাব কমে গেলে সবজির চাহিদার পাশাপাশি দাম বাড়বে।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. আক্তারুজ্জামান বলেন, যশোরে সারা বছর সবজির আবাদ হয়ে থাকে। এ জেলায় ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে বছরে ৮ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি সবজি উৎপাদন হয়। এর মধ্যে চলতি মৌসুমে ১৬ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমিতে বেগুন, পটোল, লাউ, শিমসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজায় সাহায্য বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ আইসিজের দিল্লি হাইকোর্টে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা খারিজ বস্ত্র-পাট খাতে চীনের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ জামালপুরে সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি মামলায় আ’লীগ নেতা গ্রেফতার গাজায় অনাহার যুদ্ধাপরাধ হতে পারে : জাতিসঙ্ঘ ‘প্রত্যেককে কোরআনের অনুশাসন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে’ মতলব উত্তরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা বছরে পৌনে ৩ লাখ মানুষের মৃত্যু দূষণে

সকল