করোনা দুর্যোগেও গরিবের চাল নিয়ে নয়-ছয়
- কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
- ০৩ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০
করোনা দুর্যোগে সারা দেশ লকডাউন অন্য দিকে ইলিশ প্রজনন মৌসুমে নদীতে মাছ শিকার বন্ধ থাকায় প্রান্তিক জেলেদের আয় একবারে বন্ধ। আর এই সময় জেলেদের বিশেষ বরাদ্দ ভিজিএফের চাল মেরে খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। মাথাপিছু ৮০ কেজি চাল দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয়েছে ৪০-৬০ কেজি করে। বিষয়টি ইউএনওকে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। তবে চাল কম দেয়ার অভিযোগকে প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র বলছেন চেয়ারম্যান।
জানা যায়, জাটকা নিধন বন্ধে উৎসাহিত করতে প্রান্তিক জেলে পরিবারগুলোর জন্য প্রণোদনা হিসেবে ইলিশ প্রজনন মৌসুমে সরকার ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা দিয়ে থাকে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দুই মাসের ৮০ কেজি না দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাথাপিছু ৪০-৬০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে। বাকি চাল পরিষদে রেখে দেয়া হয়েছে।
চর গঙ্গামতি এলাকার জেলে ইয়াকুব হাওলাদার চাল কম পেয়ে প্রতিকার পেতে মোবাইল ফোনে বিষয়টি কলাপাড়া ইউএনওকে জানান। কিন্তু ইউএনও এ বিষয়ে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেননি বলে দাবি করেন ইয়াকুব। চাল কম দেয়া নিয়ে মুখ খুললেও চর গঙ্গামতির জেলে ইব্রাহিম মুন্সী, কুদ্দুস মুসল্লি, দেলোয়ার তালুকদার, ইউসুফ, মনির গাজী, রুবেল গাজী, বেল্লাল ফকির, রাসেল সিকদার, হাসান সিকদার তাদের নাম প্রকাশ করতে ভয় পান। তাদের বক্তব্য, এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যান তাদের কার্ড বাতিল করে দিতে পারেন। এমনকি মারধরও করতে পারে।
জেলে ইব্রাহিম মুন্সীর স্ত্রী আয়শা বলেন, চাল কম দেয়া নিয়ে আমরা কথা বললে চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে বাড়িতে এসে মারধর করতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্নভাবে তার লোকজন দিয়ে হয়রানি করতে পারে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মনোজ কুমার সাহা জানান, কলাপাড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও দু’টি পৌরসভায় মোট তালিকাভুক্ত জেলের সংখ্যা ১৮ হাজার ৩০৫ জন। এর মধ্যে ৯ হাজার ১৪৩ জন প্রান্তিক জেলে সরকারের বিশেষ ভিজিএফ সুবিধা পেয়ে থাকেন। বর্তমানে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের জন্য মাথাপিছু ৮০ কেজি করে চাল পাবেন জেলেরা। এর কম দেয়ার সুযোগ নেই।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা বি এম শফিকুল ইসলাম জানান, খাদ্যগুদাম থেকে বরাদ্দকৃত চাল সঠিক পরিমাণে সরবরাহ করা হচ্ছে। চেয়ারম্যান-মেম্বাররা যদি বলে, ‘গুদাম থেকে পরিমাণে কম দেয়া হয়েছে’ তাহলে সে কথা সত্য নয়।
এ দিকে অভিযুক্ত ধূলাসার ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল মাস্টার বলেন, তদারকি কর্মকর্তার উপস্থিতিতেই চাল বিতরণ করা হয়েছে। পরিমাণে কম দেয়া হয়নি। এটা আমার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র। সংশ্লিষ্ট তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আমার শিশু সন্তান অসুস্থ থাকায় আমি নিজে যেতে পারিনি। আমার পরিবর্তে একজন অফিসারকে তদারকির জন্য পাঠাই।
ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, আমাকে ধূলাসারের বিষয়টি একজন জেলে মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন। এ ছাড়া চম্পাপুর ইউনিয়ন থেকেও অনুরূপ অভিযোগ পেয়েছি। দুই ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসারদের জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে আসা হবে। এরপর তদন্ত সাপেক্ষে অনিয়মের সাথে জড়িত জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা