২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভালুকায় সীমানা পিলার বসিয়ে বন বিভাগের জমি দখলের চেষ্টা

-

ময়মনসিংহের ভালুকায় সীমানা পিলার পুঁতে বনবিভাগের প্রায় শতবিঘা জমি দখলের চেষ্টা চলেছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় বনবিভাগ। খবর পেয়ে কিছু পিলার ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তা ছাড়া বনবিভাগের কতিপয় অসাধু ব্যক্তির রহস্যজনক নীরবতায় বিভিন্ন এলাকায় একই কায়দায় বনভূমি দখলে নিয়ে বহুতল ভবন ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠারও অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিন ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে ও বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হবিরবাড়ি মৌজার ৬২০ ও ৬৪১ নম্বর দাগে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী ভূমি দালালচক্র বেশ কয়েকটি চালার চার পাশে সীমানা পিলার পুঁতে বনবিভাগের প্রায় শতবিঘা জমি দখলের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে ভালুকা রেঞ্জের হবিরবাড়ি বিট কর্মকর্তা দেওয়ান আলীর নেতৃত্বে বনবিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে বেশ কিছু পিলার ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন।
স্থানীয় নজরুল ইসলাম ও নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে জানান, আবুল বাশার ওরফে বাশান নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে কতিপয় লোক বনবিভাগের জমি জবর দখলের উদ্দেশ্যে সীমানা পিলার পুঁততে থাকলে বনবিভাগের লোকজন এসে বেশ কিছু পিলার ভেঙে দেন। অভিযুক্ত আবুল বাশার ওরফে বাশান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গাজীপুরের শফিকুল আলম নামে এক দালালের মাধ্যমে প্রায় এক যুগ আগে হবিরবাড়ি মৌজার বেশ কয়েকটি দাগে তার বাপ চাচারা প্রায় ২৫-২৬ একর জমি বিক্রি করেছিলেন।
এ ব্যাপারে হাজিরবাজার ক্যাম্পের ইনচার্জ কামরুল হক বলেন, মহাসড়কের পাশে বনবিভাগের জমি দখলে নিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে জেলা সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) স্যার ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থাপনা অপসারণের জন্য বলে গেছেন। স্থাপনা অপসারণ করা না হলে দখলকারীদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দেয়া হবে।
ভালুকা রেঞ্জেরে রেঞ্জ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক জানান, হবিরবাড়ি মৌজার ৬২০ দাগে মোট জমি রয়েছে ১৫০.৯০ একর, তাতে বনবিভাগের রয়েছে ৬৪ একর। ৬৪১ নম্বর দাগে মোট জমি রয়েছে ৪৬ একর এবং বনবিভাগের রয়েছে ৩২.৩০ একর। তবে ওই সব দাগে কোনো ডিমারকেশন নেই এবং যৌথ জরিপের বিষয়ে জেলা বন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, ওই সব দাগে বনবিভাগের জমি দখলের উদ্দেশ্যে সীমানা পিলার বসানোর খবর পেয়ে বিট অফিসারের নেতৃত্বে বনবিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে কিছু পিলার ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে আসেন। এ ব্যাপারে বন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ওই বন কর্মকর্তা জানান।

 


আরো সংবাদ



premium cement