২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মানিকছড়িতে সামান্য ত্রাণ নিয়ে বিপাকে প্রশাসন

-

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশব্যাপী অঘোষিত ‘লকডাউনে’ কর্মহীন লোকজন গৃহবন্দিত্বের সপ্তাহ পার হয়েছে। অতিদরিদ্র ও কর্মহীন পরিবারের জন্য সরকার ঘোষিত ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে প্রশাসনকে অনেকটা বেগ পেতে হচ্ছে। যে দিকেই ত্রাণ বিতরণের খবর পাচ্ছে, সে দিকে ছুটছে লোকজন। কাজেই স্বল্প ত্রাণ নিয়ে বিপাকে পড়ছে প্রশাসন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, করোনা দুর্যোগকালে খাদ্যসঙ্কটের আশঙ্কায় দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মানিকছড়ি উপজেলায় ১০ মেট্রিক টন চাল ও ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। উপজেলা প্রশাসন ২৯ মার্চ থেকে জনপদের ঘরে ঘয়ে গিয়ে কর্মহীন শ্রমজীবীদের খুঁজে খুঁজে ১০ কেজি করে চাল, ৫০০ গ্রাম ডাল, ৫০০ গ্রাম তেল, ৫০০ গ্রাম লবণ, একটি সাবান, এক কেজি আলু, এক কেজি করে পেঁয়াজ বিতরণ অব্যাহত রেখেছে; কিন্তু এ জনপদের ৯০ শতাংশ মানুষ শ্রমজীবী। কেউ নিজ জমিতে,আবার কেউ পরের জমিতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহী করেন। করোনা প্রতিরোধে জনসমাগমে সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করায় গত ২৬ মার্চ থেকে লোকজন গৃহবন্দী। ফলে অর্ধলক্ষাধিক মানুষের জনপদে খাদ্যসঙ্কট প্রতিনিয়ত বাড়ছে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তিন দিন ধরে উপজেলার তৃণমূলে অতিদরিদ্র ও অসচ্ছল পরিবারে ত্রাণ বিতরণ চলছে। ত্রাণ বিতরণের খবর চার দিকে ছড়িয়ে পড়ায় ত্রাণের পিছে ছুটছে লোকজন।
গত ৩১ মার্চ সকালে উপজেলার তালতলা, লেমুয়া ও কুমারী এলাকায় প্রশাসনের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে শামিল হয়েছেন সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার লে. কর্নেল কাওসার জাহান। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, ইউএনও তামান্না মাহমুদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক, পিআইও কামাল উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান ফারুক, আবুল কালাম আজাদ ও ইউপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সম্পর্কে বলেন, করোনা প্রতিরোধে সরকারের গৃহীত বিধিনিষেধে কর্মহীন মানুষের খাদ্যসঙ্কট মোকাবেলায় ১০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ও ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ এসেছে। উপজেলার চার ইউনিয়নের এক হাজার পরিবারকে আপাতত ত্রাণ দিতে পারব। উপজেলার বিত্তশালীরা ত্রাণ কার্যক্রমে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে জনগণের চাহিদানুযায়ী ত্রাণ কার্যক্রম বেগবান করা যাবে।


আরো সংবাদ



premium cement