প্রচণ্ড খরায় পুড়ছে কুলাউড়ার চা বাগান
- কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা
- ০২ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০
প্রখর সূর্য তাপে পুড়ে যাচ্ছে কুলাউড়ার বেশির ভাগ চা বাগান। অনেক বাগানের এরই মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ গাছ মরে গেছে খরার প্রভাবে। চা বাগান কর্তৃপক্ষ বলছে, সেচ অথবা স্প্রে করে চা গাছ বাঁচানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এ দিকে মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি না হওয়ায় চায়ের উৎপাদন নিয়ে আশঙ্কায় পড়েছেন চা সংশ্লিষ্টরা।
চা একটি বৃষ্টিনির্ভর গাছ। সময়মতো বৃষ্টি না হলে চা গাছ রোদে পুড়ে মরে যায়। এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। সর্বশেষ গত বছর নভেম্বর মাসে মাত্র এক ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির পর চা বাগানে সজিবতা ফিরলেও বর্তমানে চা গাছের অবস্থা খুবই খারাপ। জানা যায়, ইস্পাহানির মালিকানাধীন গাজীপুর চা বাগানের বাগানের জলাশয়গুলো শুকিয়ে কাঠ।
ইস্পাহানি চা বাগানের সিনিয়র ম্যানেজার কাজল মাহমুদ জানান, সেচ অথবা স্প্রে করে চা গাছ বাঁচানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড খরায় প্রতিনিয়ত গাছ মারা যাচ্ছে। ভারী বৃষ্টি বা ভালো মতো সেচ দিতে না পরলে অনেক গাছ মারা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফুলতলা চা বাগানের ব্যাবস্থাপক সোহেল আহমেদ বলেন, রোদে পুড়লে চা বাগানে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড়ের আক্রমণের আশঙ্কা থাকে। সব মিলিয়ে এভাবে খরার চলমান থাকলে এ মৌসুমে চায়ের উৎপাদনে ধস নামার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টি হয়ে গেলে তার থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজারের সিরাজনগর চা বাগানের ম্যানেজার শামীম আহমদ চৌধুরী জানান, চা বাগানের জন্য বৃষ্টি খুবই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি না হলে চা শিল্প মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়বে।
এইচআরসির মালিকানাধীন ক্লিভডন চা বাগানের ব্যবস্থাপক আবদুল হাসিব জানান, তাদের বাগানের ২৫ থেকে ৪০ ভাগ চা গাছ রোদে পুড়ে মরে গেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা