কাজ বন্ধ রাখার দাবিতে রাজনগরে চা-শ্রমিকদের কর্মবিরতি
- মৌলভীবাজার সংবাদদাতা
- ০১ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০
দুনিয়াব্যাপী ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ২৬ মার্চ থেকে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। জনসমাগম এড়িয়ে চলা ও ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ থাকলেও মৌলভীবাজারের রাজনগরের ফাঁড়ি বাগানসহ ১৩টি চা-বাগানে সুরক্ষা ছাড়াই দলবেঁধে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে শ্রমিকরা। ইতোমধ্যে করিমপুর চা-বাগানের শ্রমিকরা তাদের সুরক্ষার দাবিতে সোমবার থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন।
মঙ্গলবার মাথিউড়া চা-বাগানের শ্রমিকরা ম্যানেজার বাংলোর সামনে সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন।
বাগান কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের দাবিÑ শ্রমিকদের মধ্যে মাস্ক, সাবান বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে। সারা দেশের সাথে মিল রেখে বাগান বন্ধ ঘোষণা করতে হবে। তা না করলে ধর্মঘটের দিকে যাবে শ্রমিকরা। শহর বন্দরে যখন জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে তখন পিছিয়ে পড়া চা-জনগোষ্ঠী মাস্ক ব্যবহার ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়া থেকে বঞ্চিত রয়েছে। হাড়ভাঙা শ্রম দিয়ে যারা চা শিল্পকে সমৃদ্ধ করেছে তাদের প্রতি মালিকপক্ষ সামান্য দয়ামায়া প্রদর্শন করছে না। সারা দেশ লকডাউন হলেও বাগান কেন বন্ধ দেয়া হচ্ছে না এমন প্রশ্ন তাদের।
ধর্মঘট চলাকালে মাথিউড়া চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি সুগ্রিম গৌড়ের সভাপতিত্বে শ্রমিকদের এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন টেংরা ইউপি সদস্য বিক্রম গৌড়, শ্রমিক সেক্রেটারি রাম লাল রবি দাস, শ্রমিক নেতা লালন রাজভর প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালি চরণ, জয় গৌড়, সমলু সালিহা, চান্দ্রাইয়া নাইডু।
বক্তারা বলেন, আমাদেরকে করোনাভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য বা-বাগান বন্ধ ঘোষণা করতে হবে। তারা আরো বলেন, রাজনীতিবিদরা বিপদের সময় কাছে আসে না। ভোটের সময় তারা ভোট নিতে আসে। বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে মাথিউড়া চা-বাগানের ব্যবস্থাপক ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, চা-বাগান বন্ধ করে দেয়ার কোনো সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না। তবে আমরা শ্রমিকদের সচেতনভাবে সামাজিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা প্রদানে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা