২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

চিলমারীতে এখনো কিস্তি আদায়!

-

কখনো বন্যা, কখনো খরা। নিত্যদিনের সঙ্গী ভাঙন। ফসলে পোকার উপদ্রুব। এমন অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষ বছরের প্রতিটি দিন থাকে ঋণের জালে বন্দী। অভাবের সংসারে ঋণের জাল থেকে মুক্তি মেলা ভার। কিন্তু বর্তমানে করোনা আতঙ্কে কুড়িগ্রামের নিম্ন আয়ের এসব মানুষ কার্যত ঘরবন্দী। কিন্তু কাজ না থাকলেও মুক্তি মিলছে না কিস্তি পরিশোধের চাপ থেকে। কাউকে বললে পরবর্তীতে আর ঋণ দেয়া হবে না বলেও ভয় দেখাচ্ছেন এনজিও কর্মীরা।
জানা যায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার কিস্তির টাকা না আদায় করতে নির্দেশ দিয়েছে এনজিও ও ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে। কিন্তু চিলমারীতে সে নির্দেশনা না মেনে বাড়ি বাড়ি কিস্তির জন্য হানা দিচ্ছে এনজিও কর্মীরা। করোনা আতঙ্ক মানুষ ঘরমুখী হলেও সবসময় ভয়ে থাকছে কিস্তি আদায়কারী এনজিও কর্মীদের।
রমনার একজন দিনমজুর বলেন, ‘কি হইবে আর আপনাদের বলি। ভাইরাস আইছে করোনা। থাকপের কইছে ঘরে। কিন্তু কিস্তির দিতে তো বন্দ করেন নাই। কাম নাই কাজ নাই বাড়ি থাকি বারও হওয়া যাবার নয়। তাহলে কিস্তির দেমো কেমন করি।’ ঠগের হাট এলাকার আব্দুর রহিম বলেন, টিএমএসএস ও গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মীরা তাদের এলাকায় এসেছিল। শুধু রমনা, ঠগেরহাট, মজাইডাঙ্গা নয় পুরো উপজেলার চিত্র একই।
তবে এনজিও’র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ আদায়কারীরা বলছেন, বিশেষ ক্ষেত্রে কিস্তি আদায় করা হচ্ছে না। তবে ভূক্তভোগীরা বলছে, এনজিও কর্মীরা এখন কৌশলে কিস্তি নিচ্ছে। কেউ মুখ খুললে তাকে পরবর্তিতে আর ঋণ দেয়া তো দূরে থাক দেখে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে এনজিও ও ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্ বলেন, কোনো এনজিও বা সংস্থা যদি কিস্তির আদায় করে এর সঠিক তথ্য পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।


আরো সংবাদ



premium cement