২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
সারা দেশে করোনা চিকিৎসার প্রস্তুতির চিত্র

মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আইসোলেশন কেন্দ্র : পৌঁছেনি ওষুধ ও সরঞ্জাম

-

করোনাভাইরাস সন্দেহ রোগীদের জন্য আইসোলেশন ইউনিট হিসেবে বগুড়া সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল প্রস্তুত হলেও সেখানে রোগী ভর্তির কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি। সেই সাথে সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধও দেয়া হয়নি। এ ছাড়া জেলার ১২টি উপজেলায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক হাজার ৩০০ শয্যা প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
২৫০ শয্যার সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা: শফিক আমিন কাজল জানান, দু’টি শয্যার মধ্যে প্রায় দুই মিটার দূরত্ব রাখা বাধ্যতামূলক হওয়ায় শয্যা সংখ্যা কিছুটা কমেছে। নতুন ভবনে আরো ৬০ জনের জন্য বেড প্রস্তুত করা হবে। সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৩০ জনের একটি চিকিৎসক প্যানেল গঠন করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করার পর ওই সব ডাক্তার ও নার্সকে ১০ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার বিধান রাখা হয়েছে। মোহাম্মদ আলী ও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ছাড়াও জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের ওই প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় সংখ্যক নার্সসহ স্টাফদেরও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, হাসপাতাল থেকে পিপিই, নেবুলাইজার, ডিজিটাল এক্সরে আইসিইউ, বায়োকেমিক্যাল এনালাইজার, ওষুধ, অক্সিজেন সিলিন্ডার চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত শুধু ১০০ পিপিই পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের মৌখিক নির্দেশনায় প্রস্তুত করা হলেও পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত এখানে রোগী ভর্তি শুরু হবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ডাক্তার জানান, ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফ্যাসালিটি বেশি থাকলেও সেখানে আইসোলেশন কেন্দ্র করা হয়নি। যান্ত্রিক সুবিধা, ভবন সুবিধা ও ডাক্তার নার্স সবই পর্যাপ্ত আছে সেখানে। মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আইসোলেশনের জন্য নতুন করে অনেক সেটআপ করতে হবে।
বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা: গওসুল আজিম চৌধুরী জানান, ১২টি উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা হাসপাতালগুলো আইসোলেশনের জন্য প্রস্তুত করছেন। এ দিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে জ্বর, সর্দি, কাশি আক্রান্ত রোগী চিকিৎসার জন্য গেলেও ভর্তির জন্য সরকারি অনুমতি না থাকায় তারা ফিরে যাচ্ছেন। ফলে ওই সব রোগী ও তার পরিবারে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement