২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভয়াবহ করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে দৌলতপুর সীমান্ত

প্রতিদিন ঢুকছে ভারতে অবৈধভাবে বসবাসরতরা
-

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে অবৈধভাবে দেশে আসছেন সেখানে অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশীরা। এর মধ্যে সে দেশের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া কয়েকজনও রয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ভারত থেকে অবৈধভাবে আসা ১০ ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্য দিকে এখন পর্যন্ত দৌলতপুর উপজেলায় আড়াই শতাধিক প্রবাসী দেশে ফিরেছেন। বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরে আসা প্রবাসীদের মধ্যে গত দুই দিনে ১৫০ জনের বাড়ির সামনে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়েছে। এসব প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই ভারত থেকে এভাবে অবৈধ বসবাসরতদের বাংলাদেশে ঢোকায় ভয়াবহ করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিতে রয়েছে এই সীমান্ত পথটি।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী প্রাগপুর ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বেশ কিছু মানুষ ভারতের কেরালা রাজ্যসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে দিনমজুরির কাজ করে আসছিলেন। করোনার তীব্রতা দেখা দেয়ায় তাদের সে দেশ থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। এমনকি দেশটির কারাগারে বন্দী থাকা বাংলাদেশীদের বেশ কয়েকজনকেও মুক্তি দেয়া হয়েছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) রাতের আঁধারে তাদের সীমান্ত পথ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠাচ্ছে। ভারত থেকে অবৈধভাবে ফেরত আসা এ পর্যন্ত প্রায় ১০ জন বাংলাদেশী নাগরিককে চিহ্নিত করেছে উপজেলা প্রশাসন। আইনি জটিলতার কারণে তাদের বাড়ির সামনে লাল পতাকা টাঙ্গানো না হলেও নির্দিষ্ট ঘরের বাইরে না বেরোনোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের শুধু একটি এলাকারই চার ব্যক্তি ভারতের দমদম কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে অবৈধভাবে দেশে চলে এসেছেন। এরা হলেন মহিষকুণ্ডি পাকুড়িয়া সীমান্ত এলাকার ভিকু মণ্ডলের ছেলে আশরাফুল (২৮), জিন্নাত আলীর ছেলে বজলু (৩২), মৃত আবদুল হান্নানের ছেলে সোনারুল (৩৭) ও কালু শেখের ছেলে নুরুল শেখ (৩৫)। এদের প্রথম তিনজন গত ২০ মার্চ এবং শেষের জন পরের দিন ২১ মার্চ নিজ এলাকায় ফেরেন। রাতের আঁধারে বিএসএফ তাদের ঠেলে পাঠিয়ে দেয় বলে জানা গেছে। জেলার বৃহত্তম এ উপজেলার ৪৬ কিলোমিটার সীমান্তের ১৬ কিলোমিটার সীমান্ত উন্মুক্ত রয়েছে। যেখানে কাঁটাতারের বেড়া নেই। এই উন্মুক্ত সীমান্ত দিয়ে ভারতের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে শ্রম দিতে যাওয়া দৌলতপুর সীমান্ত এলাকার অনেক মানুষ নিজ দেশে ফিরে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজগর আলী জানান, এখন পর্যন্ত ১০ জন ভারতের কেরালা থেকে অবৈধপথে ফেরত আসার তথ্য তার কাছে রয়েছে। তাদেরকে নজরদারিতে রেখে রাষ্ট্রীয় বিধিবিধান মেনে চলতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, ভারতে অবস্থানকারী বাংলাদেশীদের কয়েকজন সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন এ রকম তথ্য তাদের কাছেও এসেছে। এ জন্য নজরদারি বাড়াতে বিজিবিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement