২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

লালমোহনে পান দোকানে মেলে নাগরিকত্ব সনদ

-

ভোলার লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিকদের ‘নাগরিকত্ব সনদ’ মিলছে পরিষদ ভবনের সামনে রাস্তার ওপর ফুটপাথে বসা পানের দোকানে। নাম ঠিকানহীন শূন্য সনদে ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর করা সনদে যে কেউ নাম-ঠিকানা বসিয়ে দিচ্ছেন পান দোকানি বশির। ফলে সহজেই যে কেউ পেয়ে যাচ্ছেন নাগরিকত্ব সনদ। শুধু পান দোকানি নয়, চেয়ারম্যানের অগ্রিম স্বাক্ষরসংবলিত নাগরিকত্ব সনদ পাওয়া যাচ্ছে স্থানীয় গজারিয়া বাজারের বিভিন্ন দোকানে। দেশের নাগরিকদের জন্য প্রাপ্য জন্ম সনদ, মৃত্যু সনদ, নাগরিকত্ব সনদ, ওয়ারিশ সনদ, প্রত্যয়নপত্রসহ বিভিন্ন সুবিধা এখন অনলাইনে হলেও অসাধু চক্রটি বাজার থেকে ছাপানো এনালগ পদ্ধতি অবলম্বন করে তা মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, স্থানীয় এক ব্যক্তি নাগরিকত্ব সনদের জন্য গেলে স্বাক্ষরসংবলিত একটি সনদ বের করেন পান দোকানদার বশির। এরপর ওই ব্যক্তির নাম জিজ্ঞেস করে তা লিখছেন। এ সময় খালি সনদে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর কিভাবে এলোÑ জানতে চাইলে পান দোকানি বশির বলেন, চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর চেয়ারম্যানই দেন। শুধু আমি একা না, এই বাজারে অনেকে এ সনদ দেয় বলেও জানান বশির।
এ দিকে নাগরিকত্ব নিতে আসা অনেকেই বলছেন, ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ কিছু দিন ধরে পরিষদে বসলেও দীর্ঘ দিন পর্যন্ত তিনি পরিষদে আসেননি। তাকে পেতে কষ্টসাধ্য হতো বিধায় হাতের কাছে পেয়ে পান দোকানির দ্বারস্থ হন তারা। ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মো: ইলান হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা আছে। এগুলোর বেশির ভাগই চেয়ারম্যান সাহেবের স্বাক্ষর থাকে, অন্য কারো না। আমাদের তো সব ধরনের নাগরিক সুবিধা এখন অনলাইনে দেয়া হয়। তবুও এগুলো কিভাবে চলে আমার জানা নেই। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে কথা বলুন। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, যে বা যারা দেয় তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন। সূত্রে জানা যায়, এ ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিকত্ব পান দোকান ছাড়াও ওই বাজারের হারুন খলিফা, হানিফ খলিফাসহ আরো কয়েকটি স্থানে পাওয়া যায়। সবগুলোতে আগে থেকেই চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর করা থাকে। এসব লোকজন নামেমাত্র কিছু টাকার জন্য যে কারো হাতে তুলে দিচ্ছেন ওই সনদ।


আরো সংবাদ



premium cement