চৌগাছায় প্রাণিস¤পদ হাসপাতালে ১১ পদের ৭টিই খালি\
- এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর)
- ১৪ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০
যশোরের চৌগাছা প্রাণিস¤পদ হাসপাতালের বেহাল দশাÑ ১১টি পদের মধ্যে সাতটি খালি রয়েছে। ছয় বছর ধরে ভেটেরিনারি সার্জন ছাড়াই চলছে এই হাসপাতাল। দীর্ঘ দিন ধরে এ সব পদ শূন্য থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রাণিচিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
জানা যায়, এ উপজেলায় ডেইরি ফার্ম রয়েছে ৭০৫টি, গরু মোটাজাতাকরণ ফার্ম ৯৬৫টি, ছাগলের ফার্ম ৮১৫টি, হাঁসের ফার্ম ৫টি, টার্কি মুরগির ফার্ম ৩টি, ব্রয়লার মুরগির ফার্ম ৬৫৮টি, লিয়ার মুরগির ফার্ম ৬টি, কোয়েল পাখির ফার্ম ২টি, কবুতরের ফার্ম ২৪টি ও ভেড়ার ফার্ম রয়েছে ১০টি। এ ছাড়া কৃষকের পারিবারিকভাবে পালিত অনেক গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, ভেড়া ও কবুতর রয়েছে। যার মোট সংখ্যা গবাদি প্রাণী ১ লাখ ৮০ হাজার ৫০০টি, ছাগল ২ লাখ ২৭ হাজার ৩০০টি ও হাঁস-মুরগি ২ লাখ ৭৫ হাজার ৮০০টি।
এ অফিসে ভিএস একজন, উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পদে তিনজন, ড্রেসার পদে একজন ও উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কৃত্রিম প্রজনন কর্মকর্তা পদে দু’জন দীর্ঘ দিন ধরে শূন্য রয়েছে। জনবল না থাকায় সরকারি এ হাসপাতালটিতে সেবা পাচ্ছেন না জনসাধারণ। তাই কৃষক তার হালের বলদসহ ছাগল-ভেড়া, হাঁস-মুরগির চিকিৎসার জন্য হাতুড়ে পল্লী চিকিৎসকদের কাছে ছুটছেন। এক দিকে চিকিৎসার নামে প্রতারিত হচ্ছেন, অন্য দিকে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছেন জনসাধারণ।
এ উপজেলার সরকারি হাসপাতালের সেবা ও আর্থিক লাভের জন্য এখানে বিপুল পরিমাণ গরু, ছাগল ও পোলট্রি খামার গড়ে ওঠে। এ অফিসে প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০ জন কৃত্রিম প্রজনন, ছাগলের ঠাণ্ডা কাশিসহ ভ্যাক্সিন দিতে আসেন। সেবা না পেয়ে বাধ্য হয়ে পল্লী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমান সরকার দারিদ্র্য মুক্ত দেশ গড়তে, ছাগল পালন, হাঁস-মুরগির খামার, গবাদি পশু, মোটাতাজাকরণ, ডেইরিফার্ম ও ভেড়া পালনে বিনা সুদে লোন দিচ্ছেন। কিন্তু ভিএসসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো দীর্ঘ দিন শূন্য থাকায় সেবাবঞ্চিত কৃষক ও ফার্ম মালিকরা আগ্রহ হারাচ্ছেন।
প্রাণিসম্পদ অফিসে সেবা নিতে আসা উপজেলার পেটভরা গ্রামের শহিদুল আলম বলেন, হাসপাতালে ডাক্তার নেই এ সুযোগে এখানে হাতুড়ে পশু ডাক্তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের কাছে গলাকাটা সেবার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
উপজেলা প্রাণিস¤পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রভাষ চন্দ্র গোস্বামী বলেন, অফিসে ভেটেরিনারি সার্জনসহ মোট সাতজনের পদ দীর্ঘ দিন ধরে শূন্য রয়েছে। জনবল না থাকায় হাসপাতালটিতে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। আমি প্রত্যেক মাসিক সভায় জনবলের বিষয়টি উত্থাপন করি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদনও করেছি।
এ ব্যাপারে যশোরে জেলা প্রাণিস¤পদ কর্মকর্তা ভবতোষ কান্তি সরকার বলেন, প্রাণিসম্পদ বিভাগের ভেটেরিনারি সার্জনের পদটি মূলত বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসের পদ। বর্তমানে প্রাণিস¤পদ বিভাগে এই পদ বিভিন্ন উপজেলায় খালি রয়েছে। তারপরও বিষয়টি নিয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করব।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা