১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হামাসকে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর’ তালিকাভুক্ত করবে অস্ট্রেলিয়া

পতাকা হাতে হামাস সমর্থকরা - ছবি : সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার সরকার জানিয়েছে, তারা ফিলিস্তিনি স্বাধীনতকামী সংগঠন হামাসকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠনের’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানী ক্যানবেরার পার্লামেন্ট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যারেন অ্যান্ড্রুস।

এর আগে ২০০৩ সালে হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জুদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডকে অস্ট্রেলিয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলো অস্ট্রেলিয়া। নতুন পদক্ষেপে রাজনৈতিক শাখাসহ পুরো সংগঠনটিকেই অস্ট্রেলিয়ায় নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হামাস ও আজকে তালিকাভুক্ত করা অন্য সহিংস গোষ্ঠীগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি গভীরভাবে অস্বস্তিকর এবং অস্ট্রেলিয়ায় তাদের ঘৃণাপূর্ণ আদর্শের কোনো স্থান নেই।’

বৃহস্পতিবার হামাসের সাথেই সিরিয়ার হায়াত তাহরির আল-শাম, আলকায়েদা সংশ্লিষ্ট হুররাস আদদ্বীন, ফিলিপাইনের সশস্ত্র সংগঠন আবু সাইয়াফ, ইন্দোনেশিয়ার জামায়া ইসলামিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের শেতাঙ্গবাদী ন্যাশনাল সোস্যালিস্ট অর্ডারকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ক্যারেন অ্যান্ড্রুস বলেন, ‘এটি অপরিহার্য যে আমাদের আইন শুধু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করেই হবে না, বরং এই ধরনের কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা, অর্থায়ন ও বাস্তবায়ন করা সংগঠনগুলোকে লক্ষ্য করবে।’

অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুসারে, দেশটিতে যদি কেউ নিষিদ্ধ ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর’ তালিকার সংগঠনগুলোকে অর্থায়ন করে বা সমর্থন করে, তবে তার ২৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

এদিকে অস্ট্রেলিয়ায় ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থনকারী অস্ট্রেলিয়া প্যালেস্টাইন অ্যাডভোকেসি নেটওয়ার্ক সরকারের এই পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে এর ফলে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে কোনো অগ্রগতি হবে না এবং ১৫ বছর ইসরাইলের অবরোধে থাকা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজা উপত্যকার ২০ লাখ বাসিন্দার জন্য আরো দুর্ভোগ সৃষ্টি করবে।

সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট বিশপ জর্জ ব্রাউনিং বলেন, ‘সরকার শান্তিপূর্ণ সমাধানের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য এক নীতি ও ইসরাইলিদের জন্য আরেক নীতি বাস্তবায়ন করছে।’

অস্ট্রেলিয়ার পদক্ষেপের জেরে হামাস বা ফিলিস্তিনি অন্য কারো বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।

তবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত অস্ট্রেলিয়ার এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘এটি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক লড়াইয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

এছাড়া ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ায়ির লাপিদ এই পদক্ষেপের জন্য ইসরাইলে নিযুক্ত অস্ট্রেলীয় রাষ্ট্রদূত পল গ্রিফিথসকে ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে ধন্যবাদ জানান।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন হামাসকে ’সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে বহু আগে থেকেই নিষিদ্ধ করে রেখেছে। গত বছর নতুন করে ব্রিটেনও সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

১৯৮৭ সালে গঠিত হামাস ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন এবং ঐতিহাসিক ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে আসছে। বর্তমান ফিলিস্তিনের পার্লামেন্টে দলটির সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।

সূত্র : আলজাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement
চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হতাহত ২২

সকল