২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিধ্বস্ত টোঙ্গায় আর্থিক পরিষেবা চালু, অগ্রাধিকার খাবার পানির

বিধ্বস্ত টোঙ্গায় আর্থিক পরিষেবা চালু, অগ্রাধিকার খাবার পানির - ছবি : সংগৃহীত

শনিবার টোঙ্গায় সীমিতভাবে আর্থিক পরিষেবা পুনরায় চালু হলে মানুষজন সেখানে লাইন দিয়ে অপেক্ষা করে। অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামির বিপর্যয়ের এক সপ্তাহ পর প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দ্বীপটির রাজধানীতে ধ্বংসস্তুপ পরিষ্কারের কাজ চলছে।

টোঙ্গার সরকার জানায় যে খাবার পানি সরবরাহ করাই এখন অগ্রাধিকার। একটি জাতীয় ইমার্জেন্সি দল ইতোমধ্যেই, বাসিন্দাদের কাছে ৬০ হাজার লিটার খাবার পানি সরবরাহ করেছে। শুক্রবার এসে পৌঁছনো নিউজিল্যান্ডের নৌবাহিনীর একটি জাহাজে অবস্থিত, সমুদ্রের পানি লবণ মুক্ত করার যন্ত্রটি ইতোমধ্যেই টোঙ্গার বন্দরে সমুদ্রের পানি বিশুদ্ধিকরণের কাজ শুরু করেছে। জাহাজটি প্রতিদিন ৭০ হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি উৎপাদন করতে সক্ষম।

দূরের দ্বীপগুলোতে থাকা মানুষজনের মধ্যে, যারা সুনামিতে নিজেদের ঘরবাড়ি হারিয়েছেন, তাদের খাদ্য ও পানির স্বল্পতা নিরসনে দেশটির মূল দ্বীপ, টোঙ্গাটাপুতে স্থানান্তরিত করা হবে।
টোঙ্গার প্রধানমন্ত্রীর দফতর দেশটির কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো একটি বিবৃতিতে এমনটি জানায়। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের এই দ্বীপপুঞ্জটিতে আঘাত করা সুনামির উচ্চতা ১৫ মিটার পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল।

বিবৃতিতে আরো বলা হয় যে, অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠে সৃষ্ট দূষণে নৌকাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং নৌপথে যাতায়াত কষ্টসাধ্য করে তুলেছে। এছাড়া আভ্যন্তরীণ ফ্লাইটও বন্ধ রাখা হয়েছে।

আগ্নেয়গিরির ছাই ও সুনামিতে দেশটির জনসংখ্যার ৮৪% ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং সীমিত স্যাটেলাইট ও রেডিও সংযোগের কারণে দ্বীপগুলোর মধ্যে যোগাযোগ একটি ‘বড় রকমের চ্যালেঞ্জ’ হয়ে উঠেছে বলে, বিবৃতিটিতে বলা হয়।

টোঙ্গায় ত্রাণ সরবরাহ করতে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ব্রিটেন থেকে নৌবাহিনীর আরো জাহাজ যাত্রাপথে রয়েছে। শনিবার জাপান ও নিউজিল্যান্ড থেকে দুটি ত্রাণবাহী বিমান সেখানে পৌঁছায়। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায়, অস্ট্রেলিয়া থেকে দুটি ত্রাণবাহী বিমান সেখানে অবতরণ করে।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা


আরো সংবাদ



premium cement