১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলা

আপিল করতে যাচ্ছে ক্রাইস্টচার্চের সেই হামলাকারী

ব্রেন্টন ট্যারান্ট - ছবি : সংগৃহীত

নিউজিল্যান্ডের মসজিদে গুলি করে ৫১ জনকে হত্যাকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মওকূফের জন্য আপিল করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। সোমবার তার আইনজীবী দেশটির সরকার পরিচালিত রেডিওকে বলেছেন যে, ২০১৯ সালের ওই হামলার পর তাকে অপরাধী সাব্যস্ত করার আবেদনটি চাপের মুখে গ্রহণ করা হয়েছিল।

শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী ৩১ বছর বয়সের ব্রেন্টন ট্যারান্ট গত বছর আদালতে প্যারোলবিহীন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন।

২০১৯ সালের ১৫ মার্চে নিউজল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে ৫১ জনকে হত্যা ও আরো ৪০ জনকে হত্যাচেষ্টার জন্য তাকে আদালত এ দণ্ড দেয়। দেশটির ইতিহাসে গুলি করে মানুষ হত্যার এটিই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা।

কোনো ব্যক্তিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়ার ঘটনাও নিউজিল্যাণ্ডের আদালতে এটাই প্রথম।

ট্যারান্টের আইনজীবী টনি এলিস রেডিও নিউজিল্যান্ডকে বলেছেন, তার ক্লায়েন্ট তাকে জানিয়েছেন যে, তিনি বিচারাধীন থাকাকালে ‘অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণের’ শিকার হয়ে গত বছর আদালতে অপরাধ স্বীকার করেন।

সম্প্রতি ট্যারান্টের আইনজীবী হিসাবে দায়িত্ব নেয়া এলিস তার ক্লায়েন্টের পক্ষে করোনা আদালতে ক্রাইস্টচার্চ হামলার সকল দিক বিবেচনা ও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ হয়েছিল কিনা সে বিষয়ে তদন্ত শুরুর দাবি করেছেন।

এলিস বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন যে, তিনি বিচারের অপেক্ষায় থাকাকালীন তার সাথে যে আচরণ করা হয়েছিল তার প্রভাবে আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা দমে যায়। ফলে তিনি তখন সবচেয়ে সহজ উপায় হিসেবে অপরাধ স্বীকার করে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।’

এলিসের আইনজীবী আরো বলেন, ‘এর দ্বারা তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, রিমান্ডে থাকাকালে তার প্রতি অমানবিক বা অপমানজনক আচরণ করা হয়েছিল, যা সুষ্ঠু বিচারকে বাধা দেয়।’

এলিস বলেছেন যে, তিনি তার ক্লায়েন্টকে প্যারোলবিহীন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করার পরামর্শ দিয়েছেন, কারণ এটি একটি ‘আশাহীন দণ্ড’ এবং এটি ‘অধিকার আইনের’ লঙ্ঘন। তার সাজাপ্রাপ্ত ক্লায়েন্ট এটি বিবেচনা করছেন বলে জানান তিনি।

মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে এলিস বলেন, তার ক্লায়েন্ট তাকে শুধুমাত্র নির্বাচিত কিছু দেশীয় মিডিয়ার সাথে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন।

অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ট্যারান্ট নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় মুসলমানদের উপর নির্বিচারে গুলি চালান এবং হেড-মাউন্ট করা ক্যামেরা ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডের লাইভ স্ট্রিমিং করে। তিনি একজন সামরিক দক্ষ ব্যক্তি এবং মসজিদে হামলার সময় তিনি আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রে সজ্জিত ছিলেন।

সূত্র : রয়টার্স


আরো সংবাদ



premium cement