২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ক্রাইস্টচার্চ মসজিদ আক্রমণ নিয়ে ফিল্ম বানানোর নিন্দা জেসিন্ডার

ক্রাইস্টচার্চ মসজিদ আক্রমণ নিয়ে ফিল্ম বানানোর নিন্দা জেসিন্ডার - ছবি- সংগৃহীত

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন ২০১৯ সালে সংঘটিত ক্রাইস্টচার্চ মসজিদ আক্রমণ নিয়ে ফিল্ম বানানোর সমালোচনা করে এর নিন্দা জানিয়েছেন। সোমবার তিনি এ নিন্দা জানান।

জানা গেছে, ওই চলচ্চিত্রে জেসিন্ডা আরডার্নকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তা মূলত একটি ভুল সময় ও বাজে বিষয়বস্তুর ওপর নির্ভর করে তৈরি করা হয়েছে।

মার্কিন অর্থায়নে নির্মিত ওই ফিল্মের (চলচ্চিত্র) নাম দেয়া হয়েছে ‘দে আর আস’। নিউজিল্যান্ডের মুসলমানদের মধ্যে চলচ্চিত্রটি নিয়ে তীব্র নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের মুসলিম কমিউনিটির নেতারা এ চলচ্চিত্র নির্মাণের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘চলচ্চিত্রটির বিষয়বস্তু ও বর্ণনাভঙ্গি শেতাঙ্গদের রক্ষার্থেই তৈরি করা হয়েছে।’

জেসিন্ডা আরডার্ন ওই মসজিদ আক্রমণ ও চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে বলেছেন, জুমার নামাজের সময় এক শেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী বন্দুকধারী হিংস্রভাবে দু’টি মসজিদে দৌড়ে গিয়েছিল ও ৫১ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে। এ গুলিবর্ষণের সময় আরো ৪০ জন আহত হন। এখনো অনেক নিউজিল্যান্ডবাসীর কাছে এ ঘটনাটি খুবই যন্ত্রণাদায়ক। এখনই ওই নৃশংস ঘটনা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের কোনো মানে হয় না।

তিনি আরো বলেন, ‘চলচ্চিত্র নির্মাতারা তার সাথে এ নিয়ে কোনো পরামর্শও করেনি।’

এ দিকে ওই চলচ্চিত্রটিতে অস্ট্রেলিয়ান অভিনেত্রী রোজ বায়ার্নকে কেন্দ্রীয় চরিত্র দেয়া হয়েছে। তিনি মধ্য-বামপন্থী লেবার নেত্রী জেসিন্ডা আরডার্নের চরিত্র চিত্রায়ন করেন।

টিভিএনজেডকে জেসিন্ডা আরডার্ন বলেন, ‘আমার নিজস্ব মতানুসারে এ চলচ্চিত্রটি খুব দ্রুত নির্মিত হয়েছে। ওই আক্রমণের ঘটনা এখনো নিউজিল্যান্ডের জন্য এক বেদনাদায়ক অধ্যায়। যেহেতু এখানে (ক্রাইস্টচার্চ মসজিদ আক্রমণ) অনেক ঘটনা আছে, যা সমান গুরুত্ব দিয়ে বর্ণনা করা উচিৎ ছিল। আমি নিজেকে মুসলিম বলে মনে করি না। মূলত এ ঘটনাগুলো একটি জাতির (বেদনাদায়ক) স্মৃতি, অনেক পরিবারের (যন্ত্রণাদায়ক) গল্প।

ক্রাইস্টচার্চ মসজিদ আক্রমণের পর জেসিন্ডা আরডার্নের ভূমিকা ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিল। তার সহানুভূতিশীল প্রতিক্রিয়া আর সময়োপযোগী একক পদক্ষেপের কারণেই তিনি এ প্রশংসা পেয়েছেন। তিনি মৃত ব্যক্তিদের শোকার্ত আত্মীয়দের সাথে সাক্ষাতের সময় একটি স্কার্ফ বা হিজাবও পরেছিলেন। ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে নির্বিচার গুলিবর্ষণের মাধ্যেমে সংঘটিত ওই হত্যা নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস ঘটনা।

এমন পাশবিক ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে জেসিন্ডা আরডার্ন যে বক্তব্য দেন তার একটি অংশ নিয়েই এ চলচ্চিত্রটির নাম দেয়া হয়েছে। ওই ঘটনায় তিনি মুসলিম সম্প্রদায়কে সহায়তা করার অঙ্গীকার করেন ও অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন কার্যকর করেন দেশটিতে।

সূত্র : আল-আরাবিয়া নিউজ


আরো সংবাদ



premium cement