১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বেড়াতে গিয়ে খোঁজ মিলল ৪০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বোনের

- সংগৃহীত

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিল চলছে বিশ্বব্যাপী। হাজারো দুঃসংবাদের মাঝেও কখনো পাওয়া যাচ্ছে কিছু আনন্দ সংবাদের বার্তা। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে নিউজিল্যান্ডে। প্রায় ৪০ বছর পর হারিয়ে যাওয়া দুই বোনের দেখা হলো কোয়ারেন্টাইন থাকা অবস্থায়।

সু ব্রেমনার (৬৫) মার্চের শুরুতে স্বামী ডেভিডকে দেখতে যুক্তরাজ্যের শ্রপশায়ার থেকে দুই মাসের সফরে নিউজিল্যান্ডে গিয়েছিলেন। করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যে তারা সেখানে আটকা পড়েন। আন্তর্জাতিক ভ্রমণ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় তারা আর যুক্তরাজ্যে ফিরে আসতে পারেননি।

তবে সু বলেছেন, এই হঠাৎ আটকে থাকা অবস্থায় তাদের জন্য কিছু চমৎকার মূহুর্ত নিয়ে এসেছে। হারিয়ে যাওয়া বোনের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটাতে পেরেছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, এটি আমাদের হারিয়ে যাওয়া সময় ফিরিয়ে আনার সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা এটা উপভোগ করছি।

২০০০ সালে সু প্রথম জানতে পারেন যে তার একজন বোন আছে, যার নাম মার্গারেট। তার মার সাথে বিয়ের আগে তার বাবা অন্য একটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তার নাম দিয়েছেন মার্গারেট। বাবা সুকে বলেছিলেন মার্গারেটকে খুঁজে বের করতে। কারণ এমন একটা দিন কাটেনি যখন তিনি তার মেয়ে মার্গারেটর কথা ভাবেনি।

সুর বাবা তাকে জানায়- মার্গারেটকে তিনি শিশুকালেই দত্তক দিয়েছিলেন।

সু জানায়, এর আগে জেনারেল রেজিস্টার অফিস থেকে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে বোনের খোঁজ করেছিলেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। রেজিস্টার অফিস তাকে জানিয়েছিল মার্গারেট সম্পর্কে কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। মার্গারেট ৪০ বছরেরও বেশ আগে নিউজিল্যান্ডে চলে এসেছিলেন। তিনি সবসময়ই জানতেন যে তাকে দত্তক দেয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তার নিজের ভাই-বোন রয়েছে কি-না তা দেখার জন্য মার্গারেট যুক্তরাজ্যে যোগাযোগের সিদ্ধান্ত নেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে তাকে জেনারেল রেজিস্টার অফিস থেকে সু-এর যোগাযোগের বিবরণ দেয়া হয়।

তারপর অফিস থেকে সুকে মার্গারেটের পরিচয় জানিয়ে একটি ইমেল প্রেরণ করা হয়েছিল। সু বলেন, এই মেইল বার্তাটি পাওয়া ছিল তার জন্য 'আশ্চর্যজনক' অনুভূতি। তবে দু'জনের আবার দেখা হওয়ার আগেই তাদের বাবা মারা গেছেন।

মার্গারেট বলেন, আমাদের দেখা করার এক দূর্দান্ত সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমাদের দুই বোনের মধ্যে এতটা মিল যে এটি সত্যিই আশ্চর্য।

সুর কন্যা একজন চিকিৎসক। তিনি তার মা ও বাবাকে নিউজিল্যান্ডে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। নিউজিল্যান্ডে এখন পর্যন্ত মাত্র একজনই করোনায় মারা গেছেন। যুক্তরাজ্যের চেয়ে অনেক নিরাপদ দেশ নিউজিল্যান্ড।

সু আরো বলেন, আমরা যুক্তরাজ্যে নাতি-নাতনিদের ফেলে এসেছি। এটি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত। আমাদের সত্যিই ফিরে যেতে হবে তবে আমাদের একটি দুর্দান্ত সময় কাটছে। সূত্র : মেট্রো ইউকে


আরো সংবাদ



premium cement