২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

মহিলা দ্বৈতে স্বর্ণ পদক জয় করল ইন্দোনেশিয়া

মহিলা দ্বৈতে স্বর্ণ পদক জয় করল ইন্দোনেশিয়া -

টোকিও অলিম্পিকে সোমবার মহিলা ব্যাডমিন্টন দ্বৈতে স্বর্ণ পদক জয়ের পর ইন্দোনেশীয় শাটলার গ্রিসিয়া পোলি বলেছেন, বছরের পর বছর ধরে প্রচণ্ড আগ্রহ ও প্রচেস্টার পুরস্কার তিনি পেয়েছেন।

৩৩ বছর বয়সী এই কিংবদন্তী স্বদেশী অপ্রিয়ানি রাহায়ু’র সাথে জুটিবদ্ধ হয়ে চীনের চেন কিংচেন ও ঝিয়া ইফান জুটিকে ২১-১৯, ২১-১৫ পয়েন্টে হারিয়ে ইন্দোনেশিয়াকে মহিলা দ্বৈতে প্রথম স্বর্ণ পদক এনে দিয়েছেন। টোকিও অলিম্পিকেও এটি ছিল ইন্দোনেশিয়ার প্রথম স্বর্ণ পদক জয়।

৫ বছর আগে অবসরের চিন্তা করা পোলির কাছে এটি একটি অনন্য সফলতা। ব্রাজিলের রিওতে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকের কোয়ার্টার ফাইনালে পরাজিত হবার সময় প্রিয় পার্টনার নিত্য কৃষিন্দা মহেশ্বরী হাঁটুর ইনজুরিতে পড়ায় এমনটি চিন্তা করেছিলেন তিনি। ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকের ব্যর্থতার তিক্ত স্মৃতি মুছতেও কাজ করবে এই পদক। ওই সময় তার সঙ্গী ছিলেন মেলিয়ানা জৌহরি।

আবে আপ্লুত পোলি বলেন, ‘আমি শুধু একাগ্রতা ও সফলতা লাভের জন্য প্রচণ্ডভাবে আগ্রহী ছিলাম। যা আমাকে এই স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করেছে।’ বিয়ের মাত্র এক দিন পর গত বছর ডিসেম্বরে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তার ভাই।

পোলি বলেন,‘ লন্ডন অলিম্পিকের ব্যর্থতা আমার হৃদয়কে ভেঙ্গে দিয়েছিল। ইন্দোনেশিয়ার বিপুল সংখ্যক ভক্ত আমাকে বলেছিল, লড়াই চালিয়ে যেতে। আমার প্রতি তাদের প্রচুর আস্থা ছিল।’ ২০১৬ সালে ১০ বছরের জুনিয়র রাহায়ুর সাথে জুটি বাঁধার প্রস্তাব দিয়ে অবসর গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে পোলিকে সহায়তা করেছিলেন তার কোচ। পোলিকে ‘রোল মডের’ আখ্যা রাহায়ু বলেন, প্রবীণ সঙ্গীর সঙ্গ তাকে পরিণত করেছে।

রাহায়ু বলেন,‘ তিনি সব সময় আমাকে স্বস্তিকর পজিশনে খেলার সুযোগ করে দিতেন। আমার বয়স যখন আরো কম ছিল তখন কারো নির্দেশ মানা অথবা আমার কি করতে হবে সেটি বলতে পছন্দ করতাম না।

কিন্তু তার সাথে সাক্ষাৎ হবার পর আমি পরিণত হয়ে উঠি। প্রত্যাহিক জীবনের পাশাপাশি মানষিকভাবেও।’

এই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার কিম সু ইয়ং ও কং হি ইয়ং জুটি। তারা ২১-১০ ও ২১-১৭ পয়েন্টে হারিয়েছে স্বদেশী লি সো হি এবং শিন সেউং চ্যান জুটিকে।
সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement