অলিম্পিক আয়োজন করতে হলে ভ্যাকসিন জরুরি

আগামী বছর টোকিও অলিম্পিক আয়োজনের নিশ্চয়তা পুরোপুরিভাবে পেতে হলে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কিংবা চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে বলে মনে করেন আয়োজক কমিটির সভাপতি ইওশিরো মোরি।

গেমস নির্বিঘ্নে আয়োজনে জন্য কোন বিষয়টি সবচেয়ে জরুরি এমন প্রশ্নের উত্তরে এক সাক্ষাতকারে মোরি বলেন, ‘এটা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সবার নাগালের মধ্যে চলে এসেছে। বিশেষ করে প্রথম বিষয়টি হরো ভ্যাকসিন কিংবা ওষুধের আবিষ্কার।’

পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলে গেমস আবারো বন্ধ হয়ে যেতে পারে কিনা এমন শঙ্কার বিপরীতে মোরি বলেছেন, ‘এখনকার মতই যদি পরিস্থিতি থাকে তবে এটা মোটেই আয়োজন সম্ভব নয়। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট যে আমি কল্পনার উপর বলতে পারি না আগামী বছর কী হবে।’

সবকিছু ঠিক থাকলে টোকিও অলিম্পিক আগামীকাল থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে মার্চে তা বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয় আয়োজক কমিটি। দ্বিতীয় বিশ্বদ্ধের সময় দুইবার বাতিলের পর এই প্রথমবারের মত অলিম্পিক বাতিলে ঘোষণা এলো। নতুন তারিখ অনুযায়ী ২০২১ সালের ২৩ জুলাই থেকে গেমস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু জাপানে ভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় বেশিরভাগ মানুষই এই ধরনের বড় একটি ক্রীড়া আসর আয়োজনের ব্যপারে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন।

জাপানে প্রতি চারজন লোকের মধ্যে একজন মনে করেন আগামী বছর এই গেমস আয়োজনের সম্ভাবনা রয়েছে। বেশিরভাগই গেমস আরো পিছিয়ে দেবার কিংবা একেবারে বাতিলের পক্ষে তাদের মত দিয়েছেন। চলতি সপ্তাহে স্থানীয় একটি গণমাধ্যম পরিচালিত জরিপে এই সংখ্যা পাওয়া গেছে। যারাই গেমস বাতিলের পক্ষে মত দিয়েছে তারা মনে করেন, মহামারি এত সহজে যাবে না। আগামী বছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।

তবে এর বিপরীত মতামতও আছে। অনেকেই মনে করেন, আগামী বছর গেমস আয়োজন করা যেতে পারে, তবে সেটা সীমিত সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে। অথবা একেবারেই দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। কিন্তু মোরি বলেছেন, এই ধরনের একটি গেমসে দর্শকের সংখ্যা কমিয়ে আনাটা কঠিন। একইসাথে তিনি আরো বলেছেন, এই মুহূর্তে দর্শকবিহীন গেমস আয়োজনের কোনো পরিকল্পনা তাদের মাথায় নেই।