২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কমনওয়েলথ গেমসে খেলতে না পারার কষ্টই বেশী : রিসালাত

- ছবি : নয়া দিগন্ত

আবার জাতীয় এয়ারগান চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে দেশ সেরা হলেন রিসালাতুল ইসলাম। গত পরশু কমনওয়েলথ গেমসে দুই রৌপ্য পদক জয়ী আবদুল্লাহ হেল বাকী, জেসিমুজ্জামান এবং এস এ গেমসে রৌপ্য জয়ী শোভন চৌধুরীকে পেছনে ফেলে প্রথম হন রিসালাত। । ২৪৬.১ স্কোর করে সেরা স্থান রিসালাতের।

২০১৭ সালেও জাতীয় এয়ারগান চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম স্থান পান তিনি। এরপর ২০১৮ সালের গোলকোষ্ট কমনওয়েলথ গেমসে বাংলাদেশ দলে চান্স পেলেও শেষ মুহুর্তে তাকে বাদ দিয়ে আবদুল্লাহ হেল বাকীকে সুযোগ দেয়া। সুযোগ পেয়েই রৌপ্য জয় বাকীর।

কিন্তু সেই কমনওয়েলথ গেমসে খেলতে না পারার কষ্টটা এখনও পীড়া দিচ্ছে বিকেএসপির সাবেক এই শ্যূটারকে। নারায়নগঞ্জ রাইফেল ক্লাবের এই শ্যূাটরের সেই বেদনা এবং আগামী পরিকল্পনা উঠে এসেছে তার সাক্ষাৎকারে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রফিকুল হায়দার ফরহাদ।

প্রশ্ন: আপনি কি ভেবেছিলেন এবার এয়ার গান চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম হতে পারবেন?
রিসালাত: হ্যাঁ , আমার আত্মবিশ্বাস ছিল। আমার ক্যামব্যাক করার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু এশিয়ান গেমসের পর সুযোগই পাচ্ছিলাম না। তাই এবার জাতীয় এয়ারগান চ্যাম্পিয়নশিপে সুযোগ পেয়েই নিজেকে প্রমান করলাম। ধরে রাখলাম এই আসরে আমার শ্রেষ্ঠত্ব।

প্রশ্ন: গত বছরতো কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নিতে অস্ট্রেলিয়ার গোলকোষ্টে গিয়েও খেলা হয়নি আপনার। শেষ মুহুর্তে বাদ পড়া? সেট্ াকি আপনাপকে কষ্ট দিচ্ছে না?

রিসালাত: অবশ্যই কমনওয়েলথ গেমসে খেলতে না পারাটা আজো আমাকে পীড়া দিচ্ছে। খুব ইচ্ছে ছিল কমনওয়েলথ গেমসে পদকের জন্য লড়াই করার। কিন্তু বাদ পড়তে হয় শেষ সময়। যদিও দলের সাথেই ছিলাম। আসলে আমার পারফরম্যান্স তখন ভালো ছিল না।

প্রশ্ন: কেন আপনার ফর্ম খারাপ ছিল তখন?
রিসালাত: গেমস শুরু হওয়ার বেশ কিছু দিন আগে আমার জ্যাকেট পরিবর্তন করতে হয়। নতুন জ্যাকেট নিয়েছিলাম। এর সাথে খাপখাইয়ে নিতে পারছিলাম না। যে কারনেই ফর্মে পড়তি। তবে আবারও বলছি কমনওয়েলথ গেমসে খেলতে না পারার আক্ষেপ আমি আজো ভুলতে পারছিনা। এই গেমস এশিয়ান গেমস বা বিশ্বকাপের তুলনায় সহজ। এশিয়ান গেমস এবং বিশ্বকাপে চীন , জাপান দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্ব সেরা শ্যূটাররা থাকেন । কমনওয়েলথ গেমসে তাদের অনুপস্থিতি। ফলে কমনওয়েলথ গেমসে ৬১৬ স্কোর করেই ফাইনালে উঠা যায়। অথচ বিশ্বকাপ বা ্এশিয়ান গেমসে ৬২৬/৬২৭ স্কোর করেও ফাইনালে উঠা কঠিন। তারপরও আমার আফসোস , আমি গোল্ডকোস্টের শ্যূটিং রেঞ্জে দাঁড়াতে পারলে ফাইনালে উঠতে পারতাম। আর ফাইনালে উঠা মানে পদক জয়ের সুযোগ এসে যায়।

প্রশ্ন: এরপর তো জাকার্তা এশিয়ান গেমসে অংশ নিয়েছেন। এখন আপনার পরবর্তী লক্ষ্য কি।
রিসালাত: জানেন আমি কিন্তু এখনও এস এ গেমসে খেলিনি। ডিসেম্বরে এস এ গেমস হবে। সে জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এই গেমসে স্বর্ন জয় করা আমার টার্গেট। আরো আছে বিশ্বকাপ শ্যূটিংয়ের ফাইনালে স্থান করা। যদিও তা বেশ কঠিন। আরেকটি লক্ষ্য, ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিক গেমসে কোটা প্লেস করা । এ জন্য বিশ্বকাপে ভালো করতে হবে। সে সাথে এশিয়ান গেমসে ভালো করা।

প্রশ্ন: আপনি কি আগে কোনো বিশ্বকাপে খেলেছেন?
রিসালাত: হ্যাঁ, ২০১৭ সালে জার্মানীতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে। সেখারে আমার স্কোর ছিল ৬২৩.৫। আবদুল্লাহ হেল বাকী ভাইকে পেছনে ফেলেছিলাম তখন।

প্রশ্ন: এখন তো শ্যূটিং ফেডারেশনে বিদেশী কোচ নেই ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে। বিদেশী কোচ কতটুকু জরুরী?
রিসালাত: বিদেশী কোচ অবশ্যই জরুরী আমাদের শ্যূটিংয়ের জন্য। বিদেশী কোচের মানসিকতা চিন্তা চেতনা অনেক উন্নত। দেখুন , আগের বিদেশী কোচ ডেনমার্কের ক্লাউসের সময় আমাদের স্কোরে উন্নতি হয়েছে বেশ। তিনি আমাদের শ্যূটিংকে একটা পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। ক্লাউস এখন সিঙ্গাপুরের কোচ।


আরো সংবাদ



premium cement