উইঘুর মুসলিমদের গ্রামের নাম বদলে দিলো চীন!
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৯ জুন ২০২৪, ১৪:৩০
চীন উইঘুর মুসলিমদের গ্রামের নাম বদলে দিয়েছে বলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে তিন হাজার ছয় শ’ গ্রামের নাম বদলানো হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নরওয়ের একটি সংস্থা দীর্ঘ দিন ধরে উইঘুর মুসলিমদের নিয়ে কাজ করে। তাদের সাথে যৌথ এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
সেখানে বলা হয়েছে, নিজেদের কমিউনিস্ট আদর্শ প্রচার করতে শিনজিয়াং প্রদেশে তিন হাজার ছয় শ’টি গ্রামের নাম বদলে দিয়েছে চীনের প্রশাসন।
২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে জাতীয় পরিসংখ্যান বিভাগে নথিভুক্ত ২৫ হাজার গ্রামের নাম নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে সংস্থা দু'টি। সেখানেই তারা দেখতে পেয়েছে, তিন হাজার ছয় শ’টি গ্রামের নাম বদলে দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, এর মধ্যে প্রায় ছয় শ’টি গ্রাম সরাসরি উইঘুর মুসলিমদের। তাদের গ্রামের নামের সাথে উইঘুর বা মুসলিম সংস্কৃতি সংশ্লিষ্ট শব্দ যুক্ত ছিল। সেই শব্দগুলো বাদ দিয়ে নতুন নামকরণ করা হয়েছে।
কয়েকটি উদাহরণও দেয়া হয়েছে ওই রিপোর্টে। কোনো কোনো গ্রামের নামের সাথে ‘দুতার’ শব্দটি যুক্ত ছিল। যার অর্থ উইঘুর বাদ্যযন্ত্র। অথবা কোনো কোনো নামের সাথে ‘মাজার’ শব্দটি যুক্ত ছিল। তা বদলে ঐক্য, সম্প্রীতি, আনন্দের মতো শব্দ বসানো হয়েছে। এ ধরনের শব্দ চীনের শাসক বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করে। এই শব্দগুলোর সাথে কমিউনিস্ট শাসনের যোগ আছে বলে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য।
এখানেই শেষ নয়, সুফি শব্দ হোজা, হানিকা কিংবা বকসির মতো শব্দও বদলে দেয়া হয়েছে। অবলুপ্ত করা হয়েছে ১৯৪৯ সালের আগের উইগুর ইতিহাস।
শিনজিয়াং অঞ্চলে এভাবে আরো বহু গ্রামের নাম বদলে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে বেশ কিছু অন্যান্য জনজাতির গ্রাম আছে বলেও মনে করা হচ্ছে। মূলত ঐতিহ্য ধ্বংস করতেই এ কাজ করা হয়েছে বলে রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চীনের প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে চায়নি বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
চীন-কাজাখস্তান সীমান্তে প্রায় এক কোটি উইঘুর মুসলিম বসবাস করেন। দীর্ঘদিন ধরে তাদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ সামনে আসছে। এ নিয়ে চীনকে সতর্ক করেছে পাশ্চাত্যের দেশগুলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত পরিস্থিতির বড় কোনো বদল ঘটেনি বলেই মনে করা হচ্ছে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা