চীনের চেয়ে ১৫ বছর পিছিয়ে যুক্তরাষ্ট্র!
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৯ জুন ২০২৪, ০৬:৪৫
সারা বিশ্ব জানে চীন-আমেরিকার ঠান্ডা লড়াইয়ের কথা, তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী মনোভাবের কথা, পরস্পরের সাথে তাদের সদা লড়াইয়ের কথা। সারা বিশ্বে ক্ষমতার ভরকেন্দ্র মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই থেকেছে অনেক বছর ধরে। তবে তাতে অনেক সময়েই থাবা বসিয়েছে চীন। চীন ক্রমশ এ-বিশ্বের সবচেয়ে বড় শক্তি হয়ে উঠছে, যাকে ইমার্জিং পাওয়ার বলে উল্লেখ করে থাকে সংশ্লিষ্ট মহল।
তবে, এবার যা জানা গেল, তাতে এই তথ্যই আরো জোরদার হচ্ছে যে, চীনই এখন অগ্রসরমান দেশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিউক্লিয়ার এনার্জিতে চীনের চেয়ে ১৫ বছর পিছিয়ে! একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল। তবে, সেটা চীনের তরফেও নয়। নিরীক্ষাটি করে ওয়াশিংয়টনের একটি সংস্থা।
'ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন ফাউন্ডেশন' নামক সংস্থাটি এই গবেষণাকর্মটি করেছে। জানা গেছে, চীনে অন্তত ২৭টি নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর তৈরি করা হচ্ছে। কয়েক বছরের মধ্যেই এগুলো সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। অন্য দেশের তুলনায় এগুলো তৈরিতে চীন সময়ও অনেক কম নেয়- মাত্র সাত বছর।
কেন মার্কিন দেশ পিছিয়ে আর কেন চীন এগিয়ে?
জর্জিয়ায় দুটি বিশাল আকারের নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর তৈরির পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে একটু 'ধীরে-চলো' মোডে ছিল। আসলে গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এমিশন-ফ্রি শক্তির উৎসের খোঁজে ছিল জো বাইডেনের দেশ। তা ছাড়া ওই দুটি প্ল্যান্ট তৈরিতে আমেরিকা সময়ও যেমন নিয়েছিল, খরচাও করেছিল বিপুল।
উল্টাদিকে, চীনের পরমাণু শক্তি প্রকল্পগুলো প্রথম থেকেই সে দেশের সরকারের প্রত্যক্ষ সহায়তা পেয়ে এসেছে। পেয়ে এসেছে বিপুল সহযোগিতা। রিনিউয়েবল এনার্জির ক্ষেত্রেও প্রযুক্তিগতভাবে চীন বরাবরই অনেকটা এগিয়ে থেকেছে। চীনের হাই-টেক রিঅ্যাক্টর অন্য দেশের প্ল্যান্টসের চেয়ে অনেক কর্মক্ষম ও কার্যকরী।
তবে এসব নয়। আসল কথা হলো, নীতি। আমেরিকার পরমাণু প্রকল্প নীতি একটু আত্মতুষ্ট এবং কিছুটা পশ্চাদগামী। আর সেই সুযোগটাই পুরোপুরি কাজে লাগাচ্ছে চীন।
সূত্র : জি নিউজ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা