ইন্দোনেশিয়ার সম্প্রচার আইনের সংশোধনের প্রস্তাব উদ্বেগ বাড়িয়েছে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৯ মে ২০২৪, ১১:২৩
ইন্দোনেশিয়ার সম্প্রচার প্রস্তাবের পরিকল্পিত সংশোধন যাতে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার উপর বিধিনিষেধ অন্তর্ভুক্ত তা সাংবাদিক এবং স্বাধীন মতপ্রকাশ বিশ্লেষকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
খসড়া প্রস্তাবটি ইন্দোনেশিয়ার ২০০২ সালের সম্প্রচার আইন সংশোধন সংক্রান্ত। সংশোধনীর মধ্যে রয়েছে ‘সাংবাদিক তদন্তের একচেটিয়া সম্প্রচারের উপর বিধিনিষেধ,’ এলজিবিটিকিউ ‘আচরণ’ চিত্রিত করে এমন বিষয়ের সম্প্রচার এবং এমন একটি পেশা বা ব্যক্তি সম্পর্কে সম্প্রচার যা ‘নেতিবাচক আচরণ বা জীবনধারাকে তুলে ধরে যাতে জনসাধারণের দ্বারা অনুকরণের সম্ভাব্যতা থাকতে পারে’।
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ জার্নালিস্টের মতে, এই আইন লঙ্ঘনের জন্য শাস্তির মধ্যে লিখিত সতর্কতা বা লাইসেন্স প্রত্যাহার অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
আইনপ্রণেতারা বলছেন যে- ২০ বছরেরও বেশি সময় আগে প্রথম প্রণীত আইনটি হালনাগাদ করার জন্য সংশোধন প্রয়োজন। সমালোচকরা বলছেন, এই প্রস্তাব গণমাধ্যম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সীমিত করবে।
জাকার্তা-ভিত্তিক মিডিয়া মনিটরিং গ্রুপ, রিমোটিভির ইয়োভান্ত্রা আরিফ বলেছেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি যে- প্রস্তাবের বর্তমান খসড়াটি আমাদের জাতীয় স্বার্থ থেকে অনেক দূরে এবং এটি আসলে সৃজনশীলতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং নাগরিকদের মত প্রকাশের অনেক অধিকারকে দমন করে।’
রিমোটিভির নির্বাহী পরিচালক আরিফ বলেছেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের বিকাশের সাথে, আইনের সংশোধন প্রতিবন্ধক না হয়ে বৃদ্ধির চেতনাকে ধরে রাখা উচিত।
ডেটা অ্যানালাইসিস গ্রুপ, কাতাডাটা ইনসাইট সেন্টার এবং যোগাযোগ ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের ২০২১ সালের জরিপ থেকে দেখা গেছে যে- ইন্দোনেশিয়ানদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ৭৩ শতাংশ - সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে তথ্য নেয়। তারপরে ৫৯.৭ শতাংশ টেলিভিশন এবং ২৬.৭ শতাংশ ইন্টারনেট থেকে তথ্য নেয়।
সূত্র : ডয়চে ভেলে