১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

তাইওয়ানে দফায় দফায় ৮০টির বেশি ভূমিকম্প অনুভূত

তাইওয়ানে দফায় দফায় ৮০টির বেশি ভূমিকম্প অনুভূত - সংগৃহীত

আবারো দফায় দফায় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে তাইওয়ান। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ৮০টির বেশি ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.৩।

মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএ’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পগুলো হুয়ালিয়েনের বৃহত্তর গ্রাম পূর্ব কাউন্টিতে কেন্দ্রীভূত ছিল, যেখানে গত ৩ এপ্রিল ৭.২ মাত্রার কম্পনের পরে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়।

হুয়ালিয়েনের ফায়ার ডিপার্টমেন্ট মঙ্গলবার সকালের দিকে জানিয়েছে, একটি হোটেল যা ৩ এপ্রিলের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং আর চালু করা হয়নি। সেটি আরো কিছুটা হেলে পড়েছে।

তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার ডিপার্টমেন্ট।

তাইওয়ানের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া প্রশাসন অনুসারে, প্রথম শক্তিশালী ভূমিকম্পটি ছিল ৫.৫ মাত্রার। সোমবার বিকেল ৫টা ৮ মিনিটে এটি আঘাত হানে। এর পর মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত দফায় দফায় কম্পন অনুভূত হয়।

এর আগে গত ৩ এপ্রিল পঁচিশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পে তাইওয়ানে অন্তত ১৭ জন নিহত এবং আরো ৭০০ জনের বেশি আহত হয়। অন্তত ৭৭ জন টানেলের ভেতরে ও ধসে পড়া ভবনগুলোতে আটকা পড়ে। এ ভূমিকম্প অনুভূত হয় প্রতিবেশী চীন, ফিলিপাইন এবং জাপানেও। ওই সময় লোকজন কাজে যাচ্ছিল আর শিক্ষার্থীরা যাচ্ছিল স্কুলে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এর তথ্য অনুযায়ী, তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৪। ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে, উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। টেলিভিশনে প্রদর্শিত ছবিগুলোতে বিপজ্জনকভাবে কাত হয়ে থাকা বেশ কয়েকটি ভবন দেখা গেছে। জনবিরল পূর্বাঞ্চলীয় কাউন্টি হুয়ালিয়েনেই সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এ সময় আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানান, তাইপেতে এখনো পরাঘাত অনুভূত হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি পরাঘাত রেকর্ড করা হয়েছে। তাইওয়ানের বিদ্যুৎ পরিচালনা কোম্পানি তাইপাওয়ার জানিয়েছে, ভূমিকম্পের সময় অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলেও সরবরাহ আবার স্বাভাবিক হয়েছে। তাইওয়ানের দু’টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভূমিকম্পের কোনো প্রভাব পড়েনি।

দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা জানায়, ১৯৯৯ সালে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ২৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল ও ৫০ হাজার ভবন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

কর্মকর্তারা বলছেন, গত ২৫ বছরের মধ্যে তাইওয়ানে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প এটি।
সূত্র : এএফপি ও সিএনএ


আরো সংবাদ



premium cement
‘আপত্তিকর ভাষা’ ব্যবহারে শাস্তি পেলেন জোসেফ শ্রীমঙ্গলে হত্যা মামলায় প্রেমিক গ্রেফতার জামায়াত নেতা কাজী ফজলুল করিমের মৃত্যুতে ড. রেজাউল করিমের শোক প্রকাশ বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে মাঠে থাকব : মুন্না আমতলীতে ব্যবসায়ীকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় জড়িতদের বিচার দাবি সিরিয়া নিয়ে আশা ও শঙ্কা ইসরাইলের সিরিয়ায় বাশারের পতনে ইসরাইল কতটুকু লাভবান অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের ৫৭৯ কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে হতাহত ৫ এ দেশে রাজনীতি করতে হলে জনগণের সেবক হয়েই রাজনীতি করতে হবে : সেলিম উদ্দিন এখন সময় শান্তি ও স্থিতিশীলতার : অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী

সকল