১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

'সুপার-লার্জ' ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার দাবি উত্তর কোরিয়ার

'সুপার-লার্জ' ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার দাবি উত্তর কোরিয়ার - ফাইল ছবি

একটি টিভি পর্দায় দক্ষিণ কোরিয়ার সোওল রেলওয়ে স্টেশনে সংবাদ প্রচারকালে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের একটি দৃশ্য দেখাচ্ছে, ২০ এপ্রিল

শনিবার উত্তর কোরিয়া বলে তারা একটি 'অতি বৃহদাকার' ক্রুজ মিসাইল ওয়ারহেড এবং পশ্চিম উপকূলীয় এলাকায় একটি নতুন বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। দেশটি যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে গভীর উত্তেজনার মুখে নিজেদের সামরিক দক্ষতা প্রসারিত করছে।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, শুক্রবার দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র প্রশাসন হোয়াসাল-ওয়ান আরএ-থ্রি কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ডিজাইন করা ওয়ারহেডের জন্য 'শক্তি পরীক্ষা' করে এবং পিয়োলজি-ওয়ান-টু বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের একটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ চালায়। তারা বলে পরীক্ষাগুলি একটি অনির্দিষ্ট 'নিশ্চিত লক্ষ্য' অর্জন করেছে।

উত্তর কোরিয়ার সরকারী কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি থেকে প্রকাশিত ছবিগুলোতে একটি রানওয়েতে লঞ্চার ট্রাক থেকে কমপক্ষে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হতে দেখা যায়।

উত্তর কোরিয়া ২ ফেব্রুয়ারি একই ধরণের একটি পরীক্ষা চালায়। কিন্তু, তখন কোনো ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বা বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের নাম উল্লেখ করেনি। এটি ইঙ্গিত দেয় যে দেশটি সম্ভবত কয়েক সপ্তাহ ধরে একই সিস্টেমের পরীক্ষা করার মাধ্যমে তাদের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি দেখছিল।

কেসিএনএ জোর দিয়ে বলে যে শুক্রবারের পরীক্ষাগুলি উত্তর কোরিয়ার নিয়মিত সামরিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অংশ ছিল এবং 'আশেপাশের পরিস্থিতির' সাথে কোনোভাবেই সম্পর্কিত নয়।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন তার অস্ত্র প্রদর্শন বৃদ্ধি করার সাথে সাথে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। এই প্রদর্শনে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ড এবং প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যস্থল কেন্দ্র করে আরো শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান তাদের সম্মিলিত সামরিক প্রশিক্ষণ সম্প্রসারিত করে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ ঘিরে গড়ে তোলা প্রতিরোধ কৌশলগুলোকে তীক্ষ্ণ করার মাধ্যমে তাদের প্রতিক্রিয়া জানায়।

ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রের ক্রমবর্ধমান সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে যা আঞ্চলিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাকে ছাপিয়ে উঠার জন্য তৈরী করা হয়েছে। এগুলো যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সহ উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিশাল সংগ্রহের পরিপূরক।

বিশ্লেষকরা বলেন, বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার সাথে তার গভীর সামরিক সহযোগিতার মাধ্যমে উপকৃত হতে পারে। এ দুটি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাদের পৃথক, তীব্র সংঘর্ষের মুখে পরস্পরের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া ইউক্রেন যুদ্ধকে প্রসারিত করতে রাশিয়াকে আর্টিলারি শেল এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করার জন্য উত্তর কোরিয়াকে অভিযুক্ত করেছে।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা


আরো সংবাদ



premium cement