দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার লেবাননের ধনকুবের প্রধানমন্ত্রীর
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৮
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির বিরুদ্ধে অর্থ ফ্রান্সে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই ধনকুবের রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে আত্মসাৎ, অর্থপাচারসহ একাধিক আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ এনেছে দু’টি দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা। নাজিব মিকাতি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
চলতি সপ্তাহে ফ্রান্সে দুর্নীতি বিরোধী পর্যবেক্ষণ সংস্থা শেরপা এই অভিযোগ দাখিল করেছে।
এছাড়া লেবাননেও প্রতারণা এবং অপরাধের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের সংস্থা কালেক্টিভ অব ভিক্টিমস অব ফ্রডুলেন্ট অ্যান্ড ক্রিমিনাল প্র্যাকটিসেসও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ দাখিল করেছে। শেরপার আইনজীবী উইলিয়াম বোর্ডন অভিযোগ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বোর্ডন বলেন, ‘এটা ধনকুবের রাজনীতিবিদ হওয়ার ‘যান্ত্রিক’ পরিণতি। বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে নিজের অবস্থানকে এক ধরনের আশ্রয় বা ঢাল বলে মনে করেন তিনি।’
লেবাননের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তহবিল থেকে কয়েক কোটি ডলার হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে সালামেহ এবং তার ভাই রাজার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ফ্রান্স এবং জার্মানি।
কী বললেন নাজিব মিকাতি?
নাজিব মিকাতির অফিস ‘মিডিয়া প্রচারণার অংশ’ হিসাবে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খারিজ করে আনুষ্ঠানিক একটি বিবৃতি জারি করে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘মিকাতি এবং তার পরিবারের সদস্যদের অপমান করার’ জন্য এমন অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, মিকাতি এবং তার পরিবারের সম্পদ স্বচ্ছপথে এবং আইনি প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত।
মিকাতির অফিসের দাবি, রাজনীতিবিদকে অভিযোগের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
ফোর্বসের দেয়া তথ্য অনুসারে, নাজিব মিকাতির মোট সম্পদ ২০২৩ সালের হিসাবে ২৮০ কোটি ডলার। লেবাননের অন্যতম ধনী ব্যক্তি তিনি। ৬৮ বছর বয়সী নাজিব এবং তার ভাই আশির দশকে টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি ইনভেস্টকম প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৬ সালে ৫৫০ কোটি ডলারে তা বিক্রি করে দেন।
উল্লেখ্র মিকাতি ২০২১ সাল থেকে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সূত্র : ডয়চে ভেলে