কর ফাঁকির মামলায় খালাস পেলেন নোবেলজয়ী মারিয়া
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪:৫৬

ফিলিপাইনের নোবেলজয়ী সাংবাদিক মারিয়া রেসা কর ফাঁকি দেয়ার অভিযোগে করা পঞ্চম মামলাতেও বেকসুর খালাস পেয়েছেন। মঙ্গলবার ফিলিপাইনের একটি আদালত কর ফাঁকি সংক্রান্ত সর্বশেষ মামলাতেও তাকে খালাস দেয়।
ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতের্তের কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত রেসাকে এর আগে আটকও করা হয়েছিল।
২০১৫ সালে নির্বাচনি প্রচারণার সময় থেকেই সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে তোপ দাগাতে শুরু করেন দুতার্তে। তখনই প্রথম মামলাটি হয় রেকার বিরুদ্ধে। ২০১৬ সালে দুর্তাতে দেশের ১৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর রেসার বিরুদ্ধে আরো কিছু মামলা হয়। পাঁচটি ছিল কর ফাঁকির মামলা।
গত জানুয়ারিতে একটি আদালত চারটি মামলা থেকে খালাস দেয়ায় কর ফাঁকির চলমান সর্বশেষ মামলাটির দিকে তাকিয়ে ছিলেন সবাই। আদালত সেই মামলাতেও নির্দোষ ঘোষণা করায় মঙ্গলবার নোবেলজয়ী অনুসন্ধানী সাংবাদিক বলেন, ‘এই খালাস বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাজনৈতিকভাবে অপদস্থ করার যাবতীয় প্রয়াস, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সব ধরনের আক্রমণ সত্ত্বেও অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে।'
৫৯ বছর বয়সী মারিয়া রেসা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক তবে ফিলিপাইনে থেকেই সাংবাদিকতা করেন।
অনুসন্ধানী সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট র্যাপলার-এর সিইও এবং অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রেসা ও রাশিয়ার সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভ সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য ২০২১ সালে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান।
করফাঁকির পাঁচটি মামলা থেকে একে একে খালাস পেলেও রেসার আইনি লড়াই অবশ্য এখনো শেষ হয়নি। তার এবং তার সাবেক সহকর্মী রে সান্তোস জুনিয়রের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে একটি মানহানির মামলা এখনো চলছে। এ মামলায় আটকও হয়েছিলেন তিনি। জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি আপিল করেন। আপিলে হেরে গেলে মারিয়া রেসা ও রে সান্তোস জুনিয়রের সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডও হতে পারে।
মারিয়া রেসার দাবি, সবগুলো মামলাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে নোবেলজয়ী সাংবাদিক শুরু থেকেই বলে আসছেন, তাকে রুখে দেয়ার যত চেষ্টাই হোক তিনি থামবেন না।
জামিনে মুক্ত হলেও মারিয়া রেসা অবশ্য যখন খুশি বিদেশে যেতে পারেন না। কোনো কারণে বিদেশে যেতে হলে যাওয়ার আগে আদালতের অনুমতি নিতে হয় তাকে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা