২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সর্ববৃহৎ লাইভ-ফায়ার মহড়া করেছে

দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সর্ববৃহৎ লাইভ-ফায়ার মহড়া করেছে - ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য ‘পূর্ণ মাত্রার আক্রমণের’ অনুকরণে লাইভ-ফায়ার অনুশীলন শুরু করেছে। তারা বলেছে, এটি উত্তর কোরিয়ার হুমকির বিরুদ্ধে তাদের ‘অপ্রতিরোধ্য’ সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য এই ধরনের সবচেয়ে বড় মহড়া।

হাউইটজার কামানগুলো উত্তর কোরিয়ার সাথে সুরক্ষিত সীমান্তের কাছে পোচিওনের একটি পাহাড়ে গুলি চালায়। যুদ্ধ ট্যাংকগুলো কৌশলে লক্ষ্যবস্তুতে গুলি চালায়; ফলে উপত্যকা জুড়ে ধোঁয়া, ধুলো এবং শকওয়েভ তৈরি হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় আড়াই হাজার সেনা মহড়ায় অংশ নিয়েছিল। এরকম মহড়া এখন থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত আরো চারবার অনুষ্ঠিত হবে।

গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার প্রথম সামরিক গুপ্তচর উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতির অনুমোদন দিয়েছেন। কিম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার হুমকি মোকাবেলা করা প্রয়োজন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, স্যাটেলাইটটি উত্তর কোরিয়ার নজরদারি ক্ষমতাকে উন্নত করবে, এটি যুদ্ধের ক্ষেত্রে আরো নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানতে সক্ষম হবে।

কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের কারণে অনেক মহড়া পিছিয়ে যাওয়ার পরে যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বাহিনী সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ মহড়া চালাচ্ছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বি-ওয়ান বি বোমারু বিমান এবং সমুদ্র মহড়াও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

উত্তর কোরিয়া মহড়ার প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। তারা এই মহড়াকে আক্রমণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বাহিনীর প্রস্তুতি হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা


আরো সংবাদ



premium cement