২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

আফগানিস্তানে ভয়াবহ পঙ্গপালের বিষয়ে সতর্কতা জারি জাতিসঙ্ঘের

- ছবি : ইউএনবি

জাতিসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আফগানিস্তানের গম উৎপাদনস্থল উত্তর ও উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের আটটি প্রদেশে মরোক্কান পঙ্গপালের ব্যাপক প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে একটি সতর্কতা জারি করেছে। আফগানিস্তানের বৃহত্তম অনলাইন সংবাদ পরিষেবা খামা প্রেসের বরাতে শুক্রবার ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বাদাখশান, বাদঘিস, বাঘলান, বলখ, কুন্দুজ, সামাঙ্গন, সার-ই-পুল ও তাখার ছাড়াও আফগানিস্তানের হেরাত ও ঘোর প্রদেশে পঙ্গপালের উপস্থিতির খবর পাওয়া গেছে।

বিশ্লেষণ অনুসারে, তালেবানের কট্টরপন্থী শাসনের অধীনে দেশটি এমনিতেই গুরুতর মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন। তবে ২০২৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সঙ্কটের সম্মুখীন হবে আফগানিস্তান এবং পূর্বোক্ত জেলাগুলোতে ব্যাপক মরক্কোর পঙ্গপালের প্রাদুর্ভাব বিষয়টিকে আরো খারাপ করে তুলবে।

খামা প্রেসের মতে, আফগানিস্তানে এফএও প্রতিনিধি রিচার্ড ট্রেঞ্চার্ড বলেছেন যে ‘আফগানিস্তানের গমের ঝুড়িতে মরক্কোর পঙ্গপালের প্রাদুর্ভাব প্রবল উদ্বেগের বিষয়। মরক্কোর পঙ্গপাল গাছের ফসল, চারণভূমি এবং ৫০টি খাদ্যশস্যসহ ১৫০টিরও বেশি প্রজাতির গাছপালা খেয়ে ফেলে, যার সব ক’টিই আফগানিস্তানে জন্মায়। এটি কৃষক, সাধারণ মানুষ ও সমগ্র দেশের জন্য একটি বিশাল হুমকি।’

মরক্কোর পঙ্গপাল বিশ্বের সবচেয়ে খাদক উদ্ভিদ কীটগুলোর মধ্যে একটি।

এফএও’র মতে, এই বছরের সম্পূর্ণ মহামারি থেকে ৭০ লাখ থেকে ১ দশমিক ২ মিলিয়ন টন গমের ক্ষতি হতে পারে, যার ফলে অর্থনৈতিক বিশাল ধাক্কা আসতে পারে।

খামা প্রেসের মতে ট্রেনচার্ড আরো বলেন, ‘২০ ও ৪০ বছর আগে গত দু’টি বড় প্রাদুর্ভাবে আফগানিস্তানের মোট বার্ষিক গম উৎপাদনের আনুমানিক ৮ এবং ২৫ ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। গত তিন বছরের তুলনায় এই বছর ফসলের পূর্বাভাস সবচেয়ে ভালো। কিন্তু এই প্রাদুর্ভাব ধ্বংসের হুমকি স্বরূপ। এই প্রাদুর্ভাব চলতি বছরের শেষের দিকে এবং পরের বছরে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার পরিস্থিতি আরো খারাপ করে তুলবে।’

আফগানিস্তান বর্তমানে একটি গুরুতর মানবিক সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে। কারণ আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন অনুসারে, দেশটিতে এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ জরুরি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।

এছাড়া ইউক্রেন সঙ্কট খাদ্য খরচ বৃদ্ধির ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে এবং তা অনেক আফগানের নাগালের বাইরে চলে গেছে।

কয়েক দশক ধরে সঙ্ঘাত চলা আফগানিস্তান; খাদ্য ঘাটতিসহ অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। কারণ বিদেশী সরকারগুলো উন্নয়ন তহবিল বন্ধ করে দিচ্ছে এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement
জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি! বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোনো আশা নেই : রুশ রাষ্ট্রদূত ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৪০ নিউইয়র্কে মঙ্গোলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ফ্ল্যাট জব্দ করবে যুক্তরাষ্ট্র! টাঙ্গাইলে লরি-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১ জিম্বাবুয়ে সিরিজে অনিশ্চিত সৌম্য

সকল