২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পেঁয়াজ দিয়ে কেনা যাচ্ছে সাবান, শ্যাম্পু, বিস্কুট! ফিরল বিনিময় প্রথা

পেঁয়াজ দিয়ে কেনা যাচ্ছে সাবান, শ্যাম্পু, বিস্কুট - ছবি : সংগৃহীত

ফিলিপাইনের মুদ্রা কী? এই প্রশ্নের জবাব যদি হয়, পেঁয়াজ! অবাক হবেন তো? এমনই অবাক করা কাণ্ড ঘটেছে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার একটি সুপার শপে। খবরে প্রকাশ, সেখানে শনিবার আয়োজিত হয়েছিল ‘অনিয়ন ফেস্ট’। যেখানে বিনিময়ের মাধ্যম করা হয়েছিল পেঁয়াজকে। কারণ, সে দেশে পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে নয়, দাম শুনেই চোখ ভিজে যাচ্ছে জনতার। আর এই সুযোগে পেঁয়াজের বিনিময়ে ওই সুপার শপে দেদারে বিকিয়ে গেল সাবান, শ্যাম্পু, বিস্কুট, চিপস্।

ফিলিপাইনের মুদ্রার নাম ফিলিপাইন পেসো। ইদানীং পেঁয়াজের দাম অনেক বেড়ে গেছে সে দেশে। অবস্থা এমনই যে মাছ, খাসির মাংসের চেয়েও বেশি দাম পেঁয়াজের। এই অবস্থাকে মাথায় রেখে রাজধানীর একটি সুপার শপ আয়োজন করে অনিয়ন ফেস্টের। সেখানে একটি ক্রেতারা পেঁয়াজের বিনিময়ে পেয়ে যাচ্ছেন মন মতো সামগ্রী। এমন ঘোষণা শুনে সুপার শপে লম্বা লাইন।

জানা গেছে, একটি পেঁয়াজের বিনিময় মূল্য ধরা হয়েছিল ৮৮ ফিলিপাইন পেসো। সেই দামের মধ্যে যা ইচ্ছে কিনতে পারেন আপনি।

সেই সুযোগে রান্নাঘর থেকে পেঁয়াজ এনে খুশি মতো জিনিসপত্র কিনলেন লোকজন। তবে নিয়ম ছিল, একজন সর্বাধিক তিনটি পেঁয়াজ খরচ করতে পারবেন। যাতে আবার কেউ ঘুরে না ফিরে আসেন, সে জন্য ক্রেতাদের হাতে ছাপ দিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা ছিল। পেঁয়াজ দিয়ে কেউ কিনলেন ঘরের জন্য প্রয়োজনীয় সাবান, শ্যাম্পু, বিস্কুট, কেক। ছোটরা লাইন দিয়ে কিনল চিপস্, চানাচুর, ডালমুট, ওয়েফার রোল, কুকিজ আর লজেন্স, চকোলেট।

ফিলিপাইনে বর্তমানে এক কেজি পেঁয়াজের দাম সে দেশের মুদ্রায় ৬০০ পেসো। এই উদ্যোগের নেপথ্যে রয়েছে একটি মহৎ কাজ। ক্রেতাদের দেয়া পেঁয়াজ সোজা চলে যায় একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের গুদামে। গরিব ও প্রান্তিক মানুষদের মধ্যে তা বিলি করা হবে।
সূত্র : আনন্দবাজার


আরো সংবাদ



premium cement