২২ মার্চ ২০২৩, ০৮ চৈত্র ১৪২৯, ২৯ শাবান ১৪৪৪
`

চীনকে চারিদিক থেকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি

চীনকে চারিদিক থেকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি। - ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপিন বলছে, তারা একটি নতুন সামরিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। যে চুক্তিটি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি ও স্বাধীনতা রক্ষা করবে বলে তারা আশা করছে। তবে এই চুক্তির মূলবিষয় হলো, ফিলিপিনের চারটি সামরিক ঘাঁটি থেকে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ চীন সাগর ও তাইওয়ানের আশেপাশে চীনা তৎপরতার ওপর নজরদারি করতে সক্ষম হবে।

উত্তরে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান থেকে দক্ষিণে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত মার্কিন-নেতৃত্বাধীন জোট যে চীন-বিরোধী বলয় সৃষ্টির চেষ্টা করছে তাতে একমাত্র ফাঁক ছিল ফিলিপিন। চীন ও মার্কিন বাহিনীর মধ্যে সম্ভাব্য সঙ্ঘাতের দু’টি সম্ভাব্য ফ্ল্যাশপয়েন্ট তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগর, সীমান্তে রয়েছে ফিলিপিন দ্বীপপুঞ্জ।

এখন এই চুক্তির মাধ্যমে ফিলিপিনের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে মার্কিন সৈন্যদের আরো বেশি করে প্রবেশাধিকার দেয়া হবে। গত তিন দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো বিপুল সংখ্যক আমেরিকান সৈন্য তাদের ফ্ল্যাশপয়েন্ট উপনিবেশ ফিলিপিনে ফিরে আসবে। এর প্রতিক্রিয়ায় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে যে চুক্তিটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

ওয়াশিংটনে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া কর্মসূচির পরিচালক গ্রেগরি বি পোলিং বলেছেন, ‘দক্ষিণ চীন সাগরে এমন কোনো পরিস্থিতি নেই যার জন্য ফিলিপাইনে প্রবেশের প্রয়োজন হবে না। যুক্তরাষ্ট্র কোনো স্থায়ী ঘাঁটি খুঁজছে না। পুরো বিষয়টা কোনো একটি স্থান সম্পর্কে, ঘাঁটি নয়।’

এনহ্যান্সড ডিফেন্স কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট বা ইডিসিএ চুক্তির আওতায় ফিলিপিনের পাঁচটি ঘাঁটিতে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সীমিত সংখ্যক প্রবেশাধিকার রয়েছে।

ওয়াশিংটন সরকারের বিবৃতি অনুযায়ী, এখন এসব নতুন ঘাঁটির সংযোজনের এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রকে ফিলিপিনে মানবিক ও জলবায়ু সম্পর্কিত বিপর্যয়ের জন্য আরো দ্রুত সহায়তার অনুমতি দেবে এবং অন্য চ্যালেঞ্জের প্রতি সাড়া দেয়ার অনুমতি দেবে। যার গোপন মানে হলো এই অঞ্চলে চীনকে মোকাবেলা করা।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বৃহস্পতিবার ম্যানিলায় ফিলিপিনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ বংবং মার্কোস জুনিয়রের সাথে বৈঠক করার পর এই বিবৃতি দেয়া হয়েছে।

ফিলিপিনে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ঘাঁটি কোথায় হবে তা জানা যায়নি, তবে এর মধ্যে তিনটি ফিলিপিনের উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপ লুজনে হতে পারে। তাইওয়ানের নিকটবর্তী এটাই একমাত্র বড় ভূখণ্ড, যদি চীনকে হিসেবের মধ্যে না আনা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র আজকাল এমন সব জায়গায় ঘাঁটি করতে চাইছে যেখান থেকে প্রয়োজন মতো সরবরাহ ব্যবস্থা চালু রাখা ও নজরদারি চালানোর মতো হালকা এবং নরম ধরনের অভিযান চালানো সম্ভব হবে। কিন্তু যেখানে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়নের প্রয়োজন হবে না।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ


premium cement
প্রাথমিকের ছুটি বাড়ছে না, রমজানেও ক্লাস ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার বন্ধের বিষয়ে সরকার সজাগ রয়েছে : আইনমন্ত্রী টি-টোয়েন্টি দলে হঠাৎ পরিবর্তন, নান্নুর ভুল ব্যখ্যা বাংলাদেশীদের মাঝে ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে সেরা মুশফিক অনিয়ম হলে জাতীয় নির্বাচনও বাতিল করা হবে : ইসি রাশেদা দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু নেই, শনাক্ত ৪ হামাসের প্রতিষ্ঠাতা আহমাদ ইয়াসিনকে হারানোর দিন রমজানকে স্বাগত জানাতে বর্ণিল সাজে লন্ডন আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার কাজ করছে : রাষ্ট্রপতি দেশে ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যু নেই, শনাক্ত ৪ সকল গৃহহীন মানুষের ঘর নিশ্চিত করতে কাজ করছি : প্রধানমন্ত্রী

সকল