২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

চীনে প্রতিবাদের পর ‘শূন্য কোভিড’ শিথিল হলেও বৃহত্তর কৌশল এখনো বহাল

চীনে প্রতিবাদের পর ‘শূন্য কোভিড’ শিথিল হলেও বৃহত্তর কৌশল এখনো বহাল -

চীনের কর্তৃপক্ষ কিছু কিছু ভাইরাসবিরোধী নিয়মকানুন শিথিল করেছে। তবে একইসাথে সোমবার তাদের কঠোর ‘শূন্য কোভিড’ নীতিটি তারা আবারো পুনর্নিশ্চিত করে। এর আগে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে কয়েক দশকের মধ্যে হওয়া বৃহত্তম বিক্ষোভে প্রতিবাদকারীরা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর পদত্যাগ দাবি করে।

প্রতিবাদ বা শি-র সমালোচনার বিষয়ে সরকার কোন মন্তব্য করেনি। কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছে যে অন্তত কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করার সিদ্ধান্তটি ক্ষোভ শান্ত করার উদ্দেশে নেয়া হয়েছে। তবু বিশ্লেষকরা এমন আশা করছেন না যে সরকার নিজেদের কোভিড কৌশল থেকে পিছপা হবে এবং তারা উল্লেখ করেছেন যে, ভিন্নমত রোধ করার ক্ষেত্রে দেশটির কর্তৃপক্ষ বেশ পারদর্শী।

শুক্রবার প্রতিবাদ আরম্ভ হওয়ার পর থেকে কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা পুরোপুরি পরিষ্কার নয়। প্রতিবাদগুলো দেশটির বাণিজ্য কেন্দ্র সাংহাই এবং রাজধানী বেইজিংসহ অন্যান্য শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।

বেইজিং-এর পৌর সরকার সোমবার ঘোষণা দেয় যে, যেসব ভবনে সংক্রমিত ব্যক্তি পাওয়া যাবে, সেসব ভবনে প্রবেশ রোধ করতে তারা আর কোনও ধরণের ফটক স্থাপন করবে না। তবে, গত সপ্তাহের মারাত্মক অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি তারা উল্লেখ করেনি। ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরই প্রতিবাদগুলো আরম্ভ হয়। অগ্নিকাণ্ডটিতে দমকলকর্মী বা বাসিন্দারা পালানোর সময়ে, ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের জন্য বন্ধ বা তালা মেরে রাখা ফটকগুলোর কারণে আটকে গিয়েছিলেন কিনা, এমন প্রশ্ন উঠেছিল।

এছাড়াও, দক্ষিণাঞ্চলের উৎপাদন ও বাণিজ্য কেন্দ্র, গুয়াংঝু ঘোষণা দেয় যে কিছু বাসিন্দার আর ভাইরাস শনাক্তের গণপরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে না। চীনের সর্বসাম্প্রতিক দফার সংক্রমণে গুয়াংঝু সবচেয়ে সংক্রমিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। নিজেদের সম্পদ সংরক্ষণ করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে শহরটি।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ‍উরুমকিতে ঘটে। উরুমকি ও শিনজিয়াং অঞ্চলের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আরেকটি শহর ঘোষণা দেয় যে সংক্রমণের কম ঝুঁকিতে থাকা এলাকাগুলোর বাজার ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এই সপ্তাহেই খুলে দেয়া হবে এবং বাস পরিষেবাও পুনরায় চালু করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement