থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে পদে রাখতে রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০২ অক্টোবর ২০২২, ১১:৪৩
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ওচা-কে পদে বহাল থাকার অনুমতি দিয়ে দেশটির আদালত রায় দেয়ার পর, শনিবার থাইল্যান্ডের রাজধানীতে সরকারবিরোধী প্রতিবাদকারীরা রাস্তায় নেমে আসেন।
সিদ্ধান্তটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ব্যাংককের ভিক্টরি মনুমেন্টে (বিজয় স্মৃতিসৌধ) এ প্রায় ৫০০ বিক্ষোভকারী সমবেত হন।
৬৮ বছর বয়সী প্রায়ুত রাজকীয় থাই সেনাবাহিনীর এক সাবেক কর্মকর্তা। তিনি ২০১৪ সালে থাইল্যান্ডে এক সামরিক অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন এবং তখন থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন। ২০১৭ সালে সামরিক বাহিনী একটি নতুন সংবিধান রচনা করে। সেটিতে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের মেয়াদকে আটবছরে সীমাবদ্ধ করা হয়।
আগস্টে থাইল্যান্ডের বিরোধীদলগুলো থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালতে একটি মামলা করে। তাতে যুক্তি দেয়া হয় যে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বের মেয়াদকাল এই বছর শেষ হওয়ার কথা, কারণ সামরিক অভ্যুত্থানের সাথে সাথেই তার মেয়াদ আরম্ভ হয়েছিল।
মামলাটি পর্যালোচনা করতে আদালত প্রায়ুতকে সাময়িক বরখাস্ত করে। কিন্তু শুক্রবার আদালত প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে রায় দিয়ে বলে যে সরকারপ্রধান হিসেবে তার মেয়াদসীমা অতিক্রম করেনি। ৬-৩ ব্যবধানে দেয়া ওই রায়ে বলা হয় যে নতুন সংবিধান কার্যকর হবার এক দিন পর ৬ আগস্ট ২০১৭ তারিখে প্রায়ুতের মেয়াদটি আরম্ভ হয়।
এর প্রতিক্রিয়ায় থালুফাহ নামে থাইল্যান্ডের এক সক্রিয়গোষ্ঠী ব্যাংককের ভিক্টরি মনুমেন্টের পাশে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওই জায়গাটি বিক্ষোভ প্রদর্শনের একটি নিয়মিত স্থান হয়ে উঠেছে। অতীতের প্রতিবাদগুলোতে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষও হয়েছে।
তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলোর বিক্ষোভগুলোর তুলনায় শনিবার দুপুরে পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত ছিল। এদিন প্রতিবাদকারীরা বাজারের দোকানগুলোর পাশে সমবেত হয়ে গান-বাজনা করেন, নাচানাচি করেন এবং আদালতের রায়ের প্রতি তাদের অসম্মতি প্রকাশ করেন। প্রতিবাদকারীরা মঞ্চে উঠে প্রায়ুতের প্রতি তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন, কিন্তু পরিস্থিতি বেশ উৎফুল্ল ছিল এবং প্রতিবাদটি অনেকটা ছোটখাট একটা কনসার্টের মত মনে হয়েছে।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা