২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিষ্পত্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি আন্তর্জাতিক আইনপ্রণেতাদের

- ছবি - সংগৃহীত

মিয়ানমারের জনগণ তাদের সত্যিকারের প্রতিনিধিদের আলোচনার টেবিলে রাখার অধিকার রাখে বলে উল্লেখ করেছেন মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ইউরোপ এবং এশিয়ার আইন প্রণেতারা।

মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন আবদুল্লাহ, ইউরোপ ও এশিয়ার সংসদ সদস্য এবং মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকারের (এনইউজি) সদস্যরা গত বছরের অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে সৃষ্ট সঙ্কট মোকাবিলায় আরো জোরালো পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ নিউইয়র্কে চলতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকের বাইরে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতিসঙ্ঘের মালয়েশিয়ার স্থায়ী মিশন মিয়ানমারের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে একটি বৈঠকের আয়োজন করেন।

আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এনইউজি এবং এনইউসিসিসহ মিয়ানমারের সমস্ত অংশীজনদের সাথে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ন্যায্য পরামর্শ হওয়া উচিত। তারপরে একটি পরিষ্কার পরিসমাপ্তিসহ একটি কাঠামো থাকা উচিত, যার মধ্যে মিয়ানমারে গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’

আবদুল্লাহ হলেন একমাত্র আসিয়ান মন্ত্রী যিনি মিয়ানমারের বৈধ সরকার এনইউজি-এর সদস্যদের সাথে প্রকাশ্যে সাক্ষাৎ করেছেন, যা দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করে।

মঙ্গলবার নিউইয়র্ক থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান হয়েছে। সভায় মানবাধিকার বিষয়ক এনইউজি মন্ত্রী অং মিও মিন, এনইউজি’র যোগাযোগ, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী, সেইসাথে এর মুখপাত্র হতিন লিন অং, জাতিসঙ্ঘে মিয়ানমারের স্থায়ী প্রতিনিধি কিয়াও মো তুন এবং মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

হতিন লিন অং বলেছেন, ‘মিয়ানমারের জনগণ তাদের সত্যিকারের প্রতিনিধিদের সেই টেবিলে থাকার যোগ্য যেখানে আঞ্চলিক সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।’

বৈঠকে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং মিয়ানমারের সঙ্কটের বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ইন্টারন্যাশনাল পার্লামেন্টারি ইনকোয়ারি (আইপিআই)-এর সভাপতি হেইডি হাউতালা, চার্লস সান্তিয়াগো, মালয়েশিয়ার এমপি এবং মানবাধিকার বিষয়ক আসিয়ান সংসদ সদস্যদের চেয়ারম্যান, মার্সি ক্রিস্টি ব্যারেন্ডস, ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য, টম ভিলারিন, ফিলিপাইনের সাবেক কংগ্রেসম্যান উপস্থিত ছিলেন।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার একটি গভীর সঙ্কটে নিমজ্জিত হয়েছে। কারণ সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং এর নেতৃত্বে সামরিক জান্তা তার ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে তার জনসংখ্যার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement