১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুর্ঘটনা নয় ইচ্ছে করেই বিমানটি বিধ্বস্ত করা হয়েছে : যুক্তরাষ্ট্র

- ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, কোনো দুর্ঘটনা নয় বরং ইচ্ছাকৃতভাবেই চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের বিমানটি বিধ্বস্ত করেছে।

ফ্লাইটের তথ্য সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে তদন্তকারী জানিয়েছেন।

তারা বলেন, বিমানে যান্ত্রিক কিংবা কারিগরি কোনো ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের প্রাথমিক রিপোর্ট উদ্ধৃত করে রিপোর্টে এসব কথা বলা হয়েছে।

এর আগে, মার্চ মাসে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ফ্লাইটটি চীনের দক্ষিণাঞ্চলের শহর কুনমিং থেকে গুয়াংঝু শহরে যাচ্ছিল। এ সময় বিমানটি পার্বত্য এলাকায় বিধ্বস্ত হলে ১৩২ জন আরোহী ও ক্রুর সবাই নিহত হয়।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার দু’মাস পর এখন এ ধরনের চাঞ্চল্যকর খবর পাওয়া যাচ্ছে।

যাতে বলা হচ্ছে, বিমানটি ইচ্ছে করেই নাক বরাবর নামিয়ে আনা হয়েছে।

ককপিটের কেউ একজন বিমানটিকে যা করতে বলেছিল বিমানটি সেটাই করেছে, বলেন ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

তারাই প্রথম এই রিপোর্টটি প্রকাশ করে।

দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছেন এবং প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরির সাথে যুক্ত আছেন এমন একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে একথা উল্লেখ করা হয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়, দুর্ঘটনা স্থল থেকে ফ্লাইট রেকর্ডার বা ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বিমানটিকে অনেক খাড়াভাবেই নিচের দিকে নামিয়ে আনা হয়েছিল।

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এবিসি নিউজ জানায়, ইচ্ছাকৃতভাবেই বিমানটি বিধ্বস্ত করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট সম্পর্কে যাদের অবহিত করা হয়েছে এমন দু’জন ব্যক্তিকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলে, তদন্তকারীরা কারিগরি ত্রুটির কোনো প্রমাণ খুঁজে পাননি।

এর আগে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বিমানে তিনজন পাইলট ছিলেন এবং তাদের স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা ছিল না।

এয়ারলাইন্সটি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে আলাদা করে এও বলে, পাইলটদের মধ্যে কেউ আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন এমন ইঙ্গিতও তাদের কাছে ছিল না।

যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া রিপোর্টের ব্যাপারে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের মন্তব্য জানার চেষ্টা করে বিবিসি। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।

চীনের বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তারাও এই দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে।

গতমাসে চীনা কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছিল, বিমানটি ইচ্ছাকৃতভাবে বিধ্বস্ত করা হয়ে থাকতে পারে। এই রিপোর্ট জনগণকে বিভ্রান্ত করছে এবং এর ফলে দুর্ঘটনার তদন্ত কাজে হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের রিপোর্টে বুধবার বলা হয়, তদন্তকারীরা এখনো ফ্লাইটের তথ্য ও বিমানের ধ্বংসাবশেষ বিশ্লেষণ করে দেখছেন।

তারা আরো জানায়, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ নিয়ম অনুসারে বৈজ্ঞানিক উপায়ে এই দুর্ঘটনার ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এই রিপোর্টের ব্যাপারে ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাস, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড, এবং বিমান প্রস্তুতকারী কোম্পানি বোয়িং, কেউই মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

বলা হচ্ছে, জাতিসঙ্ঘের আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার গাইডলাইন অনুসারেই তারা কোনো মন্তব্য করেনি।

দুর্ঘটনার তদন্তের ওই গাইডলাইন অনুসারে, একমাত্র তদন্তকারী সংস্থাই বিমান দুর্ঘটনার ব্যাপারে মন্তব্য করতে পারে, বোয়িং-এর একজন মুখপাত্র একথা বলেন।

এর আগে বোয়িং-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তারা চীনের তদন্ত কাজে সহায়তা করছে। চীনা এয়ারলাইন্সের খুব কমই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। সবশেষ বড় ধরনের দুর্ঘটনা হয়েছে ১২ বছর আগে।

চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের যে বিমানটি মার্চ মাসে বিধ্বস্ত হয়েছে সেটির বছর ছিল সাত বছরেরও কম।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল