২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

আজারবাইজান আর্মেনিয়ার দখলদারিত্বে কাছে মাথানত করেনি : ইলহাম আলিয়েভ

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ - ছবি : সংগৃহীত

আজারবাইজানের মানুষ আর্মেনিয়ার দখলদারিত্বের সময় তাদের কাছে মাথানত করেনি বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। বৃহস্পতিবার জাঙ্গিলান জেলা সফরের সময় ইলহাম আলিয়েভ এমন মন্তব্য করেন। দ্বিতীয় কারাবাখ যুদ্ধের সময় এ জাঙ্গিলান জেলাকে আর্মেনিয়ার দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করা হয়েছিল।

আজারবাইজানের জাঙ্গিলান এলাকার সাধারণ মানুষের সমাবেশে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বলেন, এ বিজয় (কারাবাখ যুদ্ধের জয়) আমাদের সকল জনগণের। কারণ, আজারবাইজানের মানুষ আর্মেনিয়ার দখলদারিত্বের সময় তাদের কাছে মাথানত করেনি। তারা ওই পরিস্থিতির সাথে নিজেদের মানিয়ে নেয়নি। এমনকি তারা তাদের জন্মভূমির কথাও ভুলে যায়নি।

তিনি আজারবাইজানি জনগণকে আরো বলেন, আজারবাইজানের যুবক ও বৃদ্ধরা একটি পবিত্র (বিজয়ের) দিনের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করেছিল। তারা কখনো এ বিশ্বাস থেকে বিচ্যুত হয়নি। এমনকি যখন আমরা বিজয় লাভ করি তখনো তারা এ বিষয়ে দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করেছিল।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের সকল জনগণকে বিজয়ের দিকে ধাবিত করেছি। আমাদের যুবকদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করেছি। আমরা আমাদের সেনাবাহিনী ও অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছি। এরপর আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থানকে সংহত করেছি। অবশেষে আমরা যেমন বিজয় চেয়েছি তা পেয়েছি। এটাই হলো ঐতিহাসিক ন্যায়বিচার।

উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতার পর থেকেই আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছে। ১৯৯৪ সালে আজারবাইজানের ভূমি হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নাগরনো-কারাবাখ ও এর কাছাকাছি আরো সাতটি অঞ্চল আর্মেনিয়া দখল করে নিলে এ উত্তেজনা বাড়ে।

গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর, আর্মেনিয়া আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করলে দু’দেশ নতুন করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।

৪৪ দিনের যুদ্ধে আর্মেনিয়ার দখল থেকে মুক্ত করে আজারবাইজান বিভিন্ন শহর ও অন্তত তিন শ’ জনবসতি ও গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নেয়, যা প্রায় তিন দশক আর্মেনীয় দখলের অধীনে ছিল।

যুদ্ধ বন্ধ করতে ও সংঘাতে দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের উদ্দেশে দেশ দু’টি রাশিয়ার মধ্যস্থতায় ১০ নভেম্বর একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।

রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি আজারবাইজানের জয় ও আর্মেনিয়ার পরাজয় হিসেবে মনে করা হয়। চুক্তিটির ফলে আর্মেনিয়াকে নাগরনো-কারাবাখ থেকে তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সরিয়ে ফেলতে হয়েছে।

যুদ্ধবিরতি তদারকে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে স্মারক চুক্তির আওতায় নাগরনো কারাবাখের আগদাম অঞ্চলে একটি যৌথ মনিটরিং সেন্টার চালু করা হয়েছে। যৌথ এই মনিটরিং সেন্টার থেকে তুরস্ক ও রাশিয়ার সেনাবাহিনী যৌথভাবে যুদ্ধবিরতি তদারকি করছে।

সূত্র : ইয়েনি সাফাক


আরো সংবাদ



premium cement