২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ভারতে হাভানা সিনড্রোম আত্মপ্রকাশ, যা ক্ষতি হচ্ছে

- ছবি : সংগৃহীত

প্রথমটায় অদ্ভুত সব শব্দ কানে বাজতে পারে। তারপর তীব্র মাথা যন্ত্রণা। সেখান থেকে ক্লান্তি ভাব, মাথা ঘোরা, ঘুমের সমস্যা এবং শেষে শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া। এই হলো হাভানা সিনড্রোমের উপসর্গ।

এতদিন এই রোগ ভারতে ছিল না। তবে এ মাসে ধরা পড়েছে। আমেরিকা গোয়েন্দা বিভাগ সিআইএ-র এক কর্তা ভারতে এসেছিলেন। তার শরীরে হাভানা সিনড্রোমের প্রায় সব উপসর্গই দেখা গিয়েছে। নয়াদিল্লিতে তার চিকিৎসাও হয়েছে।

আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস সম্প্রতিই এই রোগের কারণে তার ভিয়েতনাম সফর বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। কমলা ভিয়েতনামে যাওয়ার দিন কয়েক আগে থেকেই সেখানে থাকা আমেরিকার কর্মীরা একের পর এক এই রোগে আক্রান্ত হতে শুরু করেন। সেটা গত মাসের ঘটনা। তবে হাভানা সিনড্রোম প্রথম দেখা দিয়েছিল পাঁচ বছর আগে।

স্নায়ুজনিত এই রোগ কিউবার রাজধানী হাভানায় প্রথম দেখা যায় ২০১৬ সালের শেষার্ধে। রাশিয়া, চীন, অস্ট্রিয়া এবং আরো বেশ কয়েকটি দেশে আমেরিকার চর এবং কূটনৈতিক কর্তারা এই রোগে আক্রান্ত হতে শুরু করেন।
হাভানায় সংখ্যাটা ছিল সবচেয়ে বেশি। ধরাও পড়ে প্রথম।
আক্রান্ত ব্যক্তিরা জানিয়েছিলেন, তারা অদ্ভুত সব শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। তার সাথে মাথা যন্ত্রণা, মাথা ঘোরা, বমি ভাব, ক্লান্তি, অনিদ্রার মতো উপসর্গও ছিল প্রত্যেকেরই। শেষে সবারই শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

২০১৬ সালের পর থেকে গত পাঁচ বছরে কম করে ২০০ জন আমেরিকার সরকারি কর্মী এবং তাদের পরিবার পরিজন এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ২০১৯ সালের একটি সমীক্ষা আবার দাবি করছে, এই সব রোগীদের মস্তিষ্কে পরে অস্বাভাবিকতাও দেখা গিয়েছিল।

এই রোগের কারণ কী, তা অবশ্য এখনো স্পষ্ট নয়। অনেক তত্ত্ব সামনে এসেছে। তার মধ্যে একটিতে এমনও দাবি করা হয়েছে যে, বিশেষ শব্দ অস্ত্রে ঘায়েল হয়েছেন ওই রোগীরা। কেউ বলেছেন, মানসিক চাপ থেকে তৈরি হয়েছে সমস্যা।

ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সের দাবি, বিশেষ ধরনের মাইক্রোওয়েভ বিকিরণও এই রোগের কারণ হতে পারে।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement