১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মহাকাশে ৯০ দিনের মিশন শেষে পৃথিবীতে ফিরেছেন চীনা নভোচারীরা

চীনের নভোচারী নিই হাইশেং, লিউ বোমিং ও টাং হনবো - ছবি : সংগৃহীত

চীন ৯০ দিনের জন্য তিনজন নভোচারীকে মহাকাশ মিশনে পাঠানোর পর তারা আবার পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন।

চীনের এ সফল মহাকাশ অভিযান দেশটির মহাকাশ কর্মসূচি এগিয়ে নেয়ার সক্ষমতা প্রমাণ করেছে এবং মহাকাশ গবেষণার দৌড়ে চীন আরো এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ায় তাদের আস্থাও বেড়েছে।

তিনজন নভোচারী পৃথিবীর ৩৮০ কিলোমিটার (২৪০ মাইল) ওপরে চীনের তৈরি মহাকাশ স্টেশনে তিয়ানহে মডিউলে ৯০ দিন সময় অতিবাহিত করেন।

তারা বৃহস্পতিবার স্পেস স্টেশন থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে, শেনঝু-১২ নামের নভোচারী-চালিত মহাকাশযানে ওঠেন।

নিই হাইশেং, লিউ বোমিং ও টাং হনবো শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর একটা ৩৫ মিনিটে মঙ্গোলিয়ার গোবি মরুভূমিতে অবতরণ করেন।

তারা মহাকাশে যাত্রা করেন ১৭ জুন তারিখে আর গোবি মরুভূমি থেকেই তাদের নিয়ে নভোযান রওনা হয়।


চীনের গ্লোবাল টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, মহাকাশ স্টেশনে থাকাকালীন তিন নভোচারী নানা ধরনের কাজ করেছেন যার মধ্যে রয়েছে পৃথিবীতে বিভিন্ন রকম তথ্য পাঠানো এবং বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে মহাকাশে হাঁটা।

মহাকাশ স্টেশনের মূল যে মডিউলের মধ্যে নভোচারীরা ছিলেন, সেখানে প্রত্যেক নভোচারীর থাকার জন্য আলাদ কক্ষ দেয়া হয়েছিল বলে বলা হয়েছে।

চীনের এয়ারোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিস করপোরেশনকে উদ্ধৃত করে গ্লোবাল টাইমস জানাচ্ছে, সেখানে মহাকাশে ব্যবহারের উপযুক্ত জিম ছিল যেখানে নভোচারীদের ব্যায়ামের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা ট্রেডমিল ও বাইসাইকেল দেয়া হয়েছিল।

সাম্প্রতিক কয়েক বছরে চীন মহাকাশ গবেষণায় উচ্চাকাঙ্ক্ষী বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। ২০১৯ সালে চীন ছিল বিশ্বের প্রথম দেশ যারা চাঁদের সবচেয়ে দূরের অংশে রোবট পরিচালিত রোভারযান পাঠিয়েছিল।

কিন্তু, চীনকে মহাকাশে তাদের নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন তৈরি করতে হয়েছে। কারণ, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন প্রকল্পে চীনকে অংশ নিতে দেয়া হয়নি।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র প্রকল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র আর এ প্রকল্পে তারা রাশিয়া, ইউরোপ, জাপান ও কানাডার সাথে একযোগে কাজ করছে।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement