১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রথম তিব্বত সফর করলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

- ছবি- সংগৃহীত

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক গোলযোগপূর্ণ অঞ্চল তিব্বত সফর করেছেন। গত ৩০ বছরের মধ্যে এটিই চীনের কোনো শীর্ষ নেতার তিব্বত সফর।

বিবিসি জানায়, ২১ থেকে ২২ জুলাই তিব্বতে ছিলেন শি জিনপিং। তবে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম শুক্রবারই তার তিব্বত সফরের এই খবর প্রকাশ করেছে।

প্রত্যন্ত এই বৌদ্ধ অধ্যুষিত অঞ্চলের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা দমনের অভিযোগ আছে চীনের বিরুদ্ধে। তবে চীন এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

চীনের টিভিতে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায়, শি জিনপিং তিব্বতের বিমানবন্দরে নামার পর তাকে অভ্যর্থনা জানাতে আসেন অনেকে। তাদের পরনে ছিল তিব্বতের জাতিগত পোশাক। চীনের পতাকাও ওড়াতে দেখা যায় তাদেরকে।

শি দক্ষিণ-পূর্বের নিয়াংঝিতে গিয়ে সেখানকার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন ও শহর এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। পরে তিনি পার্বত্য অঞ্চলের উপর দিয়ে রেলপথে তিব্বতের রাজধানী লাসায় যান।

লাসা ভ্রমণের সময় শি জিনপিং তিব্বতের নির্বাসিত আধ্যাত্মিক নেতা দলাই লামার ঐতিহ্যবাহী বাসস্থান পোটালা প্রাসাদ পরিদর্শন করেন।

শি জিনপিং ১০ বছর আগেও একবার তিব্বত সফরে গিয়েছিলেন। তবে তখন তিনি সেখানে গিয়েছিলেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে। তার আগে ১৯৯০ সালে সর্বশেষ চীনের প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিন তিব্বত সফর করেছিলেন।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট শি সময় নিয়ে ঘুরে ঘুরে সেখানকার জাতিগত ও ধর্মীয় বিষয়ক কাজকর্ম এবং সংস্কৃতির সুরক্ষায় কী করা হয়েছে সেসব বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন।

নির্বাসনে যাওয়া অনেক তিব্বতিই বেইজিং সরকারের বিরুদ্ধে এ অঞ্চলে ধর্মীয় দমন–পীড়ন ও হাজার বছরের সংস্কৃতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ করে থাকেন।

তিব্বত চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। তবে প্রবাসী অনেক তিব্বতি এই অঞ্চলকে চীনের অংশ হিসেবে মানতে রাজি নন। ১৯৫৯ সালে চীনের বিরুদ্ধে দালাই লামার নেতৃত্বে তিব্বতিদের স্বাধীকারের আন্দোলন ব্যর্থ হয়। তখন থেকেই দলাই লামার নেতৃত্বে অসংখ্য তিব্বতি ভারত সরকারের আশ্রয় নিয়ে হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় বসবাস শুরু করেন। সেখানেই প্রতিষ্ঠিত হয় স্বাধীন তিব্বতের নির্বাসিত সরকার।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement