মালয়েশিয়ায় মাসব্যাপী লকডাউনে বাড়ছে জনগণের ক্ষোভ
- আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া থেকে
- ১৫ মে ২০২১, ১৬:৫০
মালয়েশিয়ায় করোনার চতুর্থ ঢেউ মোকাবেলায় এক মাস লকডাউন ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। কিন্তু হঠাৎ করে সরকারের এই মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (এমসিও) দেশটির সাধারণ জনগণ মেনে নিতে পারছেন না।
দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন সংসদ অধিবেশন স্থগিত থাকায় জনপ্রতিনিধিরা সেখানে গিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে পারছেন না।
শনিবার সকালে দেশটির জাতীয় দৈনিক মালায় মেইল এ বিষয়ে বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
মালয়েশিয়ায় প্রথম দফায় ৭মে থেকে ২০মে পর্যন্ত এমসিও লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। এর দু’দিন পরেই প্রধানমন্ত্রী তান শ্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিন ১২মে থেকে ৭জুন পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেন। প্রতিবেদনে আরো বলা আরো হয়, লকডাউন ঘোষণার দু’দিন আগেও সিনিয়র মন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব বলেছিলেন দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণায় তাদের কোনো পরিকল্পনা নেই। টানা লকডাউনে বিরক্ত সাধারণ মানুষ। তারা এর থেকে ফিরে আসার পথ খুঁজছে। নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নিজ এলাকার জনগণের এই ক্ষোভ সরকারের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। আবার সরাসরি সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা করলে ফৌজদারি আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ বিধায় তারা প্রকাশ্যে মূখ খুলছেন না। এই মাসব্যাপী লকডাউন নিয়ে মনুষ প্রশ্ন তুলছেন। তারা বলছেন, এই ধরনের স্বিদ্বান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে চিন্তা ভাবনা করা হয়নি।
জিওস্ট্রেটজি-এর বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা: আজমি হাসানের মতে, এমসিওগুলোতে এই বিচ্ছিন্নতা ও অসন্তোষ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশে থাকায় করোনা মহামারীর ক্ষেত্রে সরকারের সক্ষমতার প্রতি দেশটির জনগণের আস্থা কমতে পারে।
মালয়েশিয়া লকডাউনে দেশটির নাগরিকদের পাশাপাশি প্রবাসীরাও তাদের কাজকর্ম ও ব্যবসা করতে পারছেন না। যে শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে তা পালন করে কর্মস্থলে যেতে পারছেন না তারা।
এদিকে দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক খায়রুল দাযামি দাউদ বলেছেন, প্রবাসীরা ঘরের বাইরে গিয়ে যে শর্ত দেয়া হয়েছে এটা ভঙ্গ করলে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হবে। এজন্য তারা কর্মহীন অবস্থায় অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা